ডেভিড ওয়ার্নার। —ফাইল চিত্র।
টেস্ট ক্রিকেট থেকে আগেই অবসর নিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে অস্ট্রেলিয়া বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও অবসর নিলেন তিনি। তবে পরের বছর দল চাইলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পারেন। তখন অবসর ভেঙে ফিরে আসবেন ওয়ার্নার।
১৫ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন ওয়ার্নার। গত বছর এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে আর ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলেননি তিনি। এই বছরের শুরুতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নেন। এ বার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও অবসর নিয়ে আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ইতি টানলেন ওয়ার্নার। শুধু জানিয়ে রাখলেন দল চাইলে আরও এক বার অস্ট্রেলিয়ার জার্সি পরবেন।
ভারতের বিরুদ্ধে সুপার ৮-এ হেরে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেটাই ছিল ওয়ার্নারের শেষ ইনিংস। ৬ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। আরশদীপ সিংহের বলে ক্যাচ দেন স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা সূর্যকুমার যাদবের হাতে। রাগে ব্যাটে ঘুষি মারেন ওয়ার্নার। যদিও তখনও তিনি জানতেন না যে, সেটাই তাঁর শেষ ইনিংস হতে চলেছে। মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ হেরে যেতেই সেমিফাইনালে যোগ্যতা অর্জন করে আফগানিস্তান। সেই সঙ্গে বাদ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করে ধন্যবাদ জানানো হয় ওয়ার্নারকে। সেখানে লেখা হয়, “ওয়ার্নারের মতো কেউ নেই। তোমাকে মিস্ করব বুল (সতীর্থদের কাছে এই নামেই পরিচিত ছিলেন ওয়ার্নার)।”
জস হেজলউড বলেন, “ওয়ার্নারহীন অস্ট্রেলিয়া দল কেমন হয়, সেটা আমরা জানি। টেস্ট এবং এক দিনের পর এ বার টি-টোয়েন্টি থেকেও বিদায়। ওকে ছাড়া আমরা খেলেছি। এত বছর ধরে খেলা এক জন ক্রিকেটারকে আর না পাওয়া গেলে অন্য রকম একটা অনুভূতি হয়। আমরা এগিয়ে যাব।”
৩৭ বছরের ওয়ার্নার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ৩২৭৭ রান করেছেন তিনি। একটি শতরানও করেছেন। ২০০৯ সালে অভিষেক হয়েছিল ওয়ার্নারের। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলেই আন্তর্জাতিক দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। পরের ১৫ বছর ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy