২৪ ঘণ্টা আগে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে ভারতকে। সেই কামিন্সই জানিয়েছেন, এ রকম কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। তাঁর কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে দায়ী করেছেন তিনি।
এ বারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চোটের কারণে খেলছেন না কামিন্স। তিনি না থাকায় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্টিভ স্মিথ। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে কামিন্স বলেছিলেন, ভারতকে দুবাইয়ে খেলতে দিয়ে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে আইসিসি। সেই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়তেই কামিন্স জানিয়েছেন, তিনি এমন কিছুই বলেননি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমি সত্যিই এই ধরনের কিছু বলিনি।” যে সংবাদমাধ্যম কামিন্সের খবর প্রকাশ করেছিল, সেই খবর সরিয়ে নিয়েছে তারা।
সোমবার যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানে কামিন্স বলেছিলেন, “প্রতিযোগিতাটা হচ্ছে এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার। তবে নিঃসন্দেহে ভারত বিরাট একটা সুবিধা পাচ্ছে। সব ম্যাচ ওরা একই মাঠে খেলছে। এমনিতেই ভারতকে দেখে যথেষ্ট শক্তিশালী মনে হচ্ছে। পাশাপাশি একই মাঠে সব ম্যাচ খেলায় আলাদা করে সুবিধাও পেয়ে যাচ্ছে। ভারতকে এ ভাবে মাঠ বেছে নেওয়ার সুবিধা দেওয়া আইসিসির ঠিক হয়নি।” ২৪ ঘণ্টা পরেই কামিন্স জানিয়েছেন, এমন কিছু বলেননি তিনি।
আরও পড়ুন:
কামিন্স আত্মপক্ষ সমর্থন করলেও ইংল্যান্ডের দুই প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেন ও মাইকেল আথারটন অবশ্য সরাসরি দাবি করেছেন যে ভারত বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সে দেশে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি ভারত। যে কারণে হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজন করেছে আইসিসি। ভারতের সব ম্যাচ হচ্ছে দুবাইয়ে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক আথারটন এবং নাসের ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন। সেই সময় নাসেরের উদ্দেশে আথারটন বলেন, “ভারত শুধু দুবাইয়ে খেলছে। এটা নিয়ে কী বলবে? আমার মনে হয় এই সুবিধা পাওয়াটা আটকানো যাবে না, কিন্তু অস্বীকারও করা যাবে না। ভারত একটা মাঠেই খেলছে। ওদের কোথাও যেতে হচ্ছে না। অন্য দলগুলোকে দুটো আলাদা দেশে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভারত জানে কোন মাঠে খেলবে। তাই ওরা সেটা মাথায় রেখে দল নির্বাচন করতে পেরেছে। ওরা এটাও জানে সেমিফাইনাল কোথায় খেলবে। আমার মনে হয়ে এটা সুবিধাটা অস্বীকার করা যাবে না। কতটা সুবিধা পাচ্ছে সেটা যদিও মাপা কঠিন।”
ভারত যে সুবিধা পাচ্ছে সেটা মনে করেন হুসেনও। তিনি বলেন, “এটা সত্যিই বাড়তি সুবিধা। প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দল এই সুবিধা পাচ্ছে। সে দিন সমাজমাধ্যমে একটা লেখা দেখলাম, “পাকিস্তান আয়োজক, কিন্তু ভারত ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাচ্ছে।” আমার মনে হয় এই কথাটা খুব সত্যি। ওরা একটা জায়গায় রয়েছে। একই হোটেলে রয়েছে। কোথাও যেতে হচ্ছে না। একটাই সাজঘর। পিচও চেনা। দল নির্বাচনও করেছে, ওই পিচের কথা ভেবে। ওরা জানত দুবাইয়ে কেমন পিচ হবে। সেই অনুযায়ী দল নির্বাচন করেছে। দলে সব স্পিনার নিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছিল যে, কেন এত স্পিনার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন সেটা বোঝা যাচ্ছে।” এই প্রসঙ্গে অবশ্য আইসিসি বা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।