আগ্রাসী মেজাজে ট্র্যাভিস হেড। ছবি: আইসিসি।
টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নতুন নজির তৈরি হল। অস্ট্রেলিয়া এবং স্কটল্যান্ডের ম্যাচে নজির গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটার ট্র্যাভিস হেড এবং মিচেল মার্শ। দু’দলের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬২ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয় পেল অস্ট্রেলিয়া।
স্কটল্যান্ডের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে তান্ডব চালালেন তাঁরা। তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়া তুলল ১ উইকেটে ১১৩ রান। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের পাওয়ার প্লেতে এত রান করতে পারেনি আর কোনও দল। আগের রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ৬ ওভারে ১০২ রান তুলেছিল প্রোটিয়ারা।
দুই ব্যাটারের দাপটে ৯.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এ দিন অভিষেক হওয়া ফ্রেজার ম্যাকগুর্ক অবশ্য রান পেলেন না। গত আইপিএলে নজরকাড়া ব্যাটার ৩ বল খেলে শূন্য রানে আউট হলেন। অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের রাস্তায় পৌঁছে দেন অপর ওপেনার হেড এবং তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক মার্শই। তাঁদের দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৩৪ বলে ১১২ রান ওঠে। হেড ২৫ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন ১২টি চার এবং ৫টি ছক্কার সাহায্যে। ১৭ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন হেড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটাই অস্ট্রেলিয়ার কোনও ব্যাটারের দ্রুততম অর্ধশতরান। ২০২২ সালে মার্কাস স্টোইনিসও ১৭ বলে ৫০ রান করেছিলেন ২০ ওভারের ক্রিকেটে। হেড স্পর্শ করলেন সতীর্থের কীর্তি। মার্শ ১২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ৫টি চার এবং ৩টি ছয়ের সাহায্যে। দু’জনকেই আউট করেন মার্ক ওয়াট (১৩ রানে ২ উইকেট) শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন জস ইংলিস (১৩ বলে ২৭) এবং স্টোইনিস (৫ বলে ৮)।
এর আগে এডিনবরার ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করে স্কটল্যান্ড করে ৯ উইকেটে ১৫৪ রান। আয়োজকদের কোনও ব্যাটারই তেমন বড় রান করতে পারেননি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন ওপেনার জর্জ মুন্সি। তিনি করেন ২৮ রান। এ ছাড়া ম্যাথু ক্রস ২৭, রিচি বেরিংটন ২৩, ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন ১৯ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার সিন অ্যাবোট ৩৯ রানে ৩ উইকেট নেন। ২৩ রানে ২ উইকেট জেভিয়ার ব্রাটলেটের। ৩৩ রানে ২ উইকেট অ্যাডাম জ়াম্পার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy