পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছেও হেরে হতাশ রোহিত। ছবি: টুইটার।
পাকিস্তানের পর শ্রীলঙ্কার কাছেও হারল ভারত। গ্রুপ পর্বে ভাল শুরু করেও সুপার ফোর পর্বে ছন্দহীন রোহিত শর্মারা। প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। রোহিত রান পেলেও আবার ব্যর্থ বিরাট কোহলী। ভারতের ১৭৩ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা ১৯.৫ ওভারে ৪ উইকেটে করল ১৭৪ রান।
শ্রীলঙ্কার সামনে জয়ের জন্য ১৭৪ রানের লক্ষ্য রাখে ভারত। জবাবে আগ্রাসী মেজাজেই শুরু করেন শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশঙ্ক এবং কুশল মেন্ডিস। ভারতের কোনও বোলারই তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিং থামাতে পারলেন না। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে তাঁরা তোলেন ৫৭ রান। শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনারের সামনে কার্যত অসহায় দেখিয়েছে অধিনায়ক রোহিতকেও। প্রথম উইকেটের জুটিতেই শ্রীলঙ্কা ১১.১ ওভারে ৯৭ রান তুলে নেয়। নিশঙ্ক ৩৭ বলে ৫২ রান করে যুজবেন্দ্র চহালের বলে আউট হলে প্রথম ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। তাঁর ইনিংসে রয়েছে চারটি চার এবং দু’টি ছয়। দু’বল পরেই চহাল সাজঘরে ফেরালেন চরিথ আসালঙ্কা (শূন্য)। পর পর দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। সেই চার আরও বাড়ে চার নম্বরে নামা গুণতিলকাও (এক) ব্যর্থ হওয়ায়। তাঁকে আউট করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিনা উইকেটে ৯৭ থেকে তিন উইকেটে ১১০ হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। এর পরেই চহালের বলে আউট হলেন মেন্ডিসও। তিনি চারটি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্যে করলেন ৩৭ বলে ৫৭। চহালই মূলত ভারতকে ল়ড়াইয়ে ফেরালেন। ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন তিনি। উইকেটের অন্য প্রান্ত থেকে তাঁকে সাহায্য করলেন অশ্বিন।
চাপের মুখে শ্রীলঙ্কার ইনিংস টানলেন অধিনায়ক দাসুন শনাকা এবং ভানুকা রাজাপক্ষ। তাঁরাই শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিলেন শ্রীলঙ্কাকে। শেষ পর্যন্ত রাজাপক্ষ ২৫ এবং শনাকা ৩৩ রানে অপরাজিত থাকলেন। রাজাপক্ষ মারলেন দু’টি ছয়। শনাকার ব্যাট থেকে এল চারটি চার এবং একটি ছয়।
সুপার ফোর পর্বে টস ভাগ্য সঙ্গে নেই রোহিতের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও টস হারায় প্রথমে ব্যাট করতে হল ভারতীয় দলকে। পাকিস্তানের কাছে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভারতীয় ইনিংসের শুরুটা ভাল হল না মঙ্গলবার। শুরুতেই আউট হলেন লোকেশ রাহুল। মাত্র ছয় রান করেই সাজঘরে ফিরলেন ভারতীয় দলের সহ-অধিনায়ক। হতাশ করলেন বিরাট কোহলীও। শূন্য রানে আউট হলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। মাত্র ১৩ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। সেখান থেকে ভারতীয় ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক রোহিত। সঙ্গে পেলেন টি সূর্যকুমার যাদবকে। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে তাঁরা পাল্টা লড়াই পৌঁছে দিলেন শ্রীলঙ্কা শিবিরে।
দু’জনের মধ্যে বেশি আগ্রাসী ছিলেন রোহিতই। ভারত অধিনায়কের ছন্দ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভাল শুরু করেও বড় রান না পাওয়া সমালোচিত হয়েছিলেন রোহিত। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চাপের মুখে জবাব দিল তাঁর ব্যাট। সূর্যকুমার মূলত উইকেটে এক দিক আগলে রেখেছিলেন। তাঁদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের এক সময় দিশেহারা অবস্থা হয়। কিন্তু চামিকা করুণারত্নের বলে রোহিত আউট হতেই আবার ছন্দ পতন হয় ভারতীয় ইনিংসের। ৪১ বলে ৭২ রান করলেন রোহিত। তাঁর ইনিংসটি সাজানো পাঁচটি চার এবং চারটি ছয় দিয়ে। রোহিতের পর পরই সাজঘরে ফিরলেন সূর্যকুমারও। তাঁর ব্যাট থেকে এল ২৯ বলে ৩৪ রান। একটি করে চার এবং ছয় মারলেন তিনি।
এর পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারানোয় বড় রান করতে পারল না ভারত। খারাপ শট খেলে বার বার আউট হওয়ায় সমালোচিত হচ্ছিলেন ঋষভ পন্থ। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও বাঁহাতি উইকেট রক্ষক-ব্যাটার ভাল শুরু করেও উইকেট ছুড়ে দিলেন। পন্থ করলেন ১৩ বলে ১৭ রান। বড় রান পেলেন না হার্দিক পাণ্ড্যও। তিনিও আউট হলেন ১৩ বলে ১৭ রান করে। এর পর ভারতের আর কোনও ব্যাটারই রান পেলেন না। এক মাত্র অশ্বিন সাত বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকলেন। দীপক হুডা (তিন), ভুবনেশ্বর কুমার (শূন্য) রানে সাজঘরে ফিরলেন। অর্শদীপ অপরাজিত থাকেন এক রান করে। শেষ পর্যন্ত ভারতের রান দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১৭৩।
শ্রীলঙ্কার সফলতম বোলার দিলশান মদুশঙ্ক। তিনি ২৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নিলেন। কোহলী ছাড়াও পন্থ এবং হুডাকে আউট করলেন তিনি। দাসুন শনাকা ২৬ রানে দু’টি এবং চামিকা করুণারত্নে ২৭ রানে দু’টি উইকেট নিলেন। ২৯ রান দিয়ে একটি উইকেট পেলেন মাহিশ থিকশানা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy