পাকিস্তানকে জিতিয়ে নাসিম শাহের উচ্ছ্বাস। —ফাইল চিত্র
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে পাকিস্তানকে জিতিয়ে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিলেন জোরে বোলার নাসিম শাহ। কিন্তু উইকেট নিয়ে নয়, ব্যাট হাতে। এশিয়া কাপের সুপার ফোর-এ আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ ওভারের প্রথম দু’বলে দু’টি ছক্কা মারেন নাসিম। বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ক্রিকেটার যিনি ১০ বা ১১ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দু’বলে দু’টি ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছেন।
শেষ ওভারের প্রথম বলে আফগান বোলার ফজলহক ফারুকিকে লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মারেন নাসিম। পরের বলটা যেন আগের বলের রিপ্লে। একই ভাবে লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন তিনি। চার বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানকে এশিয়া কাপের ফাইনালে তোলেন নাসিম।
নাসিম শাহের নামের পাশে লেখা থাকে বোলার। তাঁর বোলিং এ বারের এশিয়া কাপে কাঁপিয়ে দিয়েছে লোকেশ রাহুলদের। কিন্তু বুধবার ব্যাট হাতে তিনি দু’টি ছয় না মারলে পাকিস্তানের ফাইনালের ওঠার পথ কঠিন হয়ে যেতে পারত। তাই রবি শাস্ত্রী ম্যাচ শেষে নাসিমকে বলেন, “আজ থেকে তো তুমি বোলার থেকে অলরাউন্ডার হয়ে গেলে।” শুনে এক গাল হাসি দেখা গেল নাসিমের মুখে। স্বস্তির হাসি। দেশকে ফাইনালে তোলার হাসি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানালেন বার বার। ১৯ বছরের তরুণ নাসিম যে তখনও বিশ্বাসই করতে পারছেন না তিনি পেরেছেন।
বুধবার দেশকে ফাইনালে তুলে নাসিম বলেন, “যখন ব্যাট করতে নামছিলাম, নিজের উপর বিশ্বাস ছিল যে ছয় মারতে পারব। আমি ছয় মারার অনুশীলন করেছি। জানতাম ওরা আমাকে ইয়র্কার করবে। সে রকম ফিল্ডিংই সাজিয়েছিল ওরা। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। নেটে যা অনুশীলন করেছি সেটাই মাঠে করতে হত। সেটাই করেছি।”
নাসিমের প্রশংসা করেছেন পাক অধিনায়ক বাবর আজমও। ম্যাচের পর তিনি মেনে নিয়েছেন, সাজঘরে সকলেই ভীষণ চাপের মধ্যে ছিলেন। বাবর বলেছেন, ‘‘সাজঘরে খুব চাপের মধ্যে ছিলাম আমরা। বড় জুটি তৈরি করতে পারিনি। শেষ কয়েকটা ম্যাচেও এই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু নাসিম যে ভাবে ম্যাচ শেষ করল, এক কথায় দুর্দান্ত। ওর ছয় দেখে শারজায় জাভেদ মিয়াঁদাদের সেই বিখ্যাত ছক্কার কথা মনে পড়ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy