রিবাট ও অনুষ্কা ছবি: ফেসবুক
২০১৭ সাল থেকে ঘর করছেন বিরাট কোহলীর সঙ্গে। প্রেমের সম্পর্ক তার আরও কয়েক বছর আগে থেকে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের সদ্য প্রাক্তন হয়ে যাওয়া অধিনায়ককে শুধু এক জন ক্রিকেটার নন, ঘরের মানুষ হিসেবে দেখেছেন অনুষ্কা শর্মা। ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরে কোহলীর জন্য বার্তা দিলেন অনুষ্কা। সেখানে তিনি লিখেছেন, তিনি জানেন কোহলীর মধ্যে অনেক খুঁত রয়েছে। কিন্তু তার পরেও ক্রিকেটের প্রতি তাঁর সদিচ্ছা সব সময় ছিল। তাই তাঁর সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন বিরাট-পত্নী।
কোহলীর উদ্দেশে অনুষ্কা লিখেছেন, ‘তুমি ভান করতে পার না। এই গুণটাই তোমাকে আমার চোখে মহান করে তুলেছে। কারণ সবাই তোমার পবিত্র ইচ্ছাটাকে দেখতে পায়। কিন্তু সবাই সেটা বুঝতে পারে না। তারা সত্যিই ভাগ্যবান যারা তোমার চোখের গভীরে তোমার মনটা দেখতে পায়। তোমার মধ্যেও অনেক খুঁত রয়েছে। কিন্তু তুমি কোনও দিন সেগুলো লুকনোর চেষ্টা করনি। সব সময় সত্যের পাশে দাঁড়িয়েছ।’
বিরাটের সঙ্গে তাঁর প্রথম দিকের সম্পর্কের কথাও উঠে এসেছে অনুষ্কার লেখায়। তিনি লেখেন, ‘আমার ২০১৪ সালের সেই দিনটার কথা মনে পড়ে যে দিন তুমি এসে বলেছিলে যে ধোনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ায় তোমাকে টেস্টের অধিনায়ক করা হয়েছে। আমার মনে আছে সে দিনই আমি, তুমি ও ধোনি বসে গল্প করছিলাম, যখন ধোনি মজা করে বলছিল কত তাড়াতাড়ি তোমার দাড়ি পাকতে শুরু করবে। সে দিন থেকে আমি তোমার দাড়ি পাকতেই শুধু দেখিনি, মানুষ হিসাবে তোমার উন্নতি দেখেছি। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবে তোমার উন্নতি দেখে আমি গর্বিত। তুমি দলকে অনেক সাফল্য দিয়েছ। তবে এই সময়ে তোমার ভেতরের উন্নতি দেখে আমি আরও গর্বিত।’
ভারতের অধিনায়ক হিসাবে বিরাটের যাত্রা পথ মোটেই ফুল বিছানো ছিল না বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন অনুষ্কা। তিনি জানিয়েছেন, সেই রাস্তার প্রতিটি বাধার বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন কোহলী। জীবন তাঁর যে যে পরীক্ষা নিয়েছে প্রতিটি পরীক্ষাতে তিনি নিজের সেরাটা দিয়েছেন। তিনি যা করেছেন সব কিছু সদিচ্ছা নিয়ে। সেই সদিচ্ছার সঙ্গে কোনও আপোস করেননি। যখন ব্যর্থ হয়েছেন তখন তিনি কেঁদেছেন। ভেবেছেন দলের জন্য আর কী করতে পারবেন। দলের সবার কাছে সেই একই লড়াই চেয়েছেন। সব সময় সৎ থেকে নিজের কাজ করে গিয়েছেন।
অধিনায়কত্ব ছে়ড়ে দিয়ে কোহলী সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করেন অনুষ্কা। তিনি লিখেছেন, ‘তুমি কোনও দিন পদের লোভ করনি। কারণ কেউ যখন কোনও কিছুকে খুব জোরে চেপে ধরে থাকতে চায় তখন সে নিজেকে সীমিত করে ফেলে। কিন্তু তুমি তো অসীম। এই সাত বছরে তুমি যা শিখেছ তা তোমার কাছ থেকে আমাদের মেয়েও শিখবে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy