অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথম এগারোতে বিশেষ সুযোগ পাননি অভিষেক। বরং বাঁ হাতি পেসার রবি কুমার সব ম্যাচে খেলেছেন। কিন্তু বাংলার রঞ্জি দলে রবির আগে অভিষেক হয়েছে অভিষেকের। দলের উইকেটরক্ষক তিনি। চন্দননগরের বাসিন্দা তরুণ উইকেটরক্ষক দু’ইনিংস মিলিয়ে চারটি ক্যাচ নিয়েছেন।
দাদা ঈশানের সঙ্গে অভিষেক (ডান দিকে) নিজস্ব চিত্র
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও মূল্যবান ২০ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। আর দ্বিতীয় ইনিংসে সবাই যখন জয়ের আশা ছেড়ে দিয়েছেল তখন শাহবাজ আহমেদের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জিতিয়েছেন অভিষেক পোড়েল। করেছেন ৫৩ রান। রঞ্জি অভিষেকেই সবার নজর কেড়েছেন কয়েক দিন আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অভিষেক। দলকে রঞ্জিতে জিতিয়ে অভিষেক বলছেন, নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে অভিষেক বলেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে। বড়দের দলে ভাল শুরু করতে চেয়েছিলাম। বাংলাকে জেতাতে সব সময় খুব ভাল লাগে। চাপ ছিল, কিন্তু দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা অনেক সাহায্য করেছে। নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলেছি।’’
শাহবাজের সঙ্গে ১০৮ রানের ম্যাচ জেতানো পার্টনারশিপ গড়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘খেলার সময় শাহবাজ ভাই আমাকে খুব সাহায্য করছিল। কী ভাবে খেলব সেই বিষয়ে কথা হচ্ছিল। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। সেটা কাজে লেগেছে।’’ ম্যাচ শেষে কোচ অরুণ লাল তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবে শুরু করেছেন অভিষেক। এখনও তাঁর অনেক দূর যাওয়া বাকি বলেই মনে করেন অরুণ।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রথম এগারোতে বিশেষ সুযোগ পাননি অভিষেক। বরং বাঁ হাতি পেসার রবি কুমার সব ম্যাচে খেলেছেন। কিন্তু বাংলার রঞ্জি দলে রবির আগে অভিষেক হয়েছে অভিষেকের। দলের উইকেটরক্ষক তিনি। চন্দননগরের বাসিন্দা তরুণ উইকেটরক্ষক দু’ইনিংস মিলিয়ে চারটি ক্যাচ নিয়েছেন। অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়ের ক্রিকেটে বাংলার হয়ে ভাল পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন। ডাক পেয়েছেন বাংলার সিনিয়র দলে। আর প্রথম ম্যাচের পরেই সতীর্থ, কোচ থেকে শুরু করে সিএবি কর্তাদের প্রশংসা কুড়োলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy