Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Abhimanyu Easwaran

Abhimanyu Easwaran: প্রিয়ঙ্ক সুযোগ পাওয়ায় হতাশ নন, খুশি ঈশ্বরন

তিন ম্যাচে অভিমন্যুর রান ছিল ২০৫। দক্ষিণ আফ্রিকার গতিময় পিচে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি হাফসেঞ্চুরিও ছিল তাঁর।

আত্মবিশ্বাসী: নিজের দক্ষতার প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল অভিমন্যু।

আত্মবিশ্বাসী: নিজের দক্ষতার প্রতি পূর্ণ আস্থাশীল অভিমন্যু। ফাইল চিত্র।

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত 
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২১ ০৭:৫৩
Share: Save:

রোহিত শর্মা হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পাওয়ায় ভারতীয় দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রিয়ঙ্ক পঞ্চাল। অথচ ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে সে দেশেই সফরে প্রিয়ঙ্কের চেয়ে বেশি রান করেন অভিমন্যু ঈশ্বরন। তবুও তাঁর আগে প্রিয়ঙ্ককে সুযোগ দেন চেতন শর্মার নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি।

তিন ম্যাচে অভিমন্যুর রান ছিল ২০৫। দক্ষিণ আফ্রিকার গতিময় পিচে একটি সেঞ্চুরির পাশাপাশি একটি হাফসেঞ্চুরিও ছিল তাঁর। অন্য দিকে প্রিয়ঙ্ক দু’ম্যাচে করেন ১২০ রান। সর্বোচ্চ ৯৬। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ভিত্তিতে তাঁদের মূল্যায়ন করা হলে অবশ্যই এগিয়ে থাকেন ঈশ্বরন। নির্বাচকেরা হয়তো বর্তমান ছন্দের পাশাপাশি অভিজ্ঞতাকেও মর্যাদা দিয়েছেন। তাই অভিমন্যুকে সরিয়ে দিয়ে জোহানেসবার্গে বিরাট কোহলিদের সঙ্গে আপাতত অনুশীলন করছেন প্রিয়ঙ্কই। ঈশ্বরনও দেহরাদূনে নিজেদের কোচিং ক্যাম্পে অনুশীলন সেরে ফিরেছেন কলকাতায়। ২৬ বছরের তারকা এ বারের রঞ্জি ট্রফিতে সম্ভবত বাংলা দলের অধিনায়ক।

ভারতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ায় শুরুতে কিছুটা কষ্ট পেয়েছিলেন ঈশ্বরন। কিন্তু বরাবরই লড়াকু মানসিকতার তরুণ ব্যাটার জানিয়ে দিলেন, তাঁর সতীর্থ যদি ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে পারেন, তিনিও এই লক্ষ্য থেকে খুব একটা দূরে নেই। প্রিয়ঙ্কের ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়াই তাঁকে অনুপ্রাণিত করছে আরও ভাল কিছু করার জন্য। আনন্দবাজারকে ঈশ্বরন বলছিলেন, ‘‘দু’জনে একই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ়ে ব্যাট করেছি। বড় জুটি গড়েছি। ওর সঙ্গে বহু বছর খেলছি। ভাল বন্ধু হয়ে উঠেছি দু’জনে। প্রিয়ঙ্ক সুযোগ পাওয়ায় আমি খুশিই।’’ যোগ করেন, ‘‘প্রথম দিন কষ্ট হয়েছিল। যদিও পরের দিন আমি ভাবলাম যে, আমার সতীর্থ যদি ভারতীয় দলে সুযোগ পেতে পারে, তার অর্থ আমিও লক্ষ্য থেকে খুব একটা দূরে নেই। প্রিয়ঙ্কের সুযোগ পাওয়া আমাকে নতুন করে উদ্বুদ্ধ করেছে। আরও উন্নতি করার জন্য অনুপ্রাণিত করছে। আমি সত্যি চাই, দেশের হয়ে প্রিয়ঙ্ক যেন ভাল কিছু করতে পারে। তা হলে আমাদের উপরেও ভরসা বাড়বে।’’

অভিমন্যু মানছেন, অভিজ্ঞতার দিক থেকে প্রিয়ঙ্ক তাঁর চেয়ে কিছুটা এগিয়ে। বলেন, ‘‘একশোটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে ওর। আমি খেলেছি ৬৭টি ম্যাচ। ওর অভিজ্ঞতা আমার চেয়ে বেশি। দেখা যাক! আগামী দিনে আমার কাছেও সুযোগ নিশ্চয়ই আসবে।’’

দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়ে যাওয়ার আগে বিশেষ প্রস্তুতি নেন ঈশ্বরন। সে দেশের পিচে গতি ও বাউন্স বেশি। তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অ্যাস্ট্রো টার্ফের পিচে ব্যাট করে তৈরি হন তিনি। একই সঙ্গে প্লাস্টিক বলেও অনুশীলন সারেন। যাতে সুইং, গতি ও বাউন্স ঠিক মতো সামলাতে পারেন। অভিমন্যুর ব্যাখ্যা, ‘‘অ্যাস্ট্রো টার্ফে বল অনেক বেশি বাউন্স করে। আড়াআড়ি নড়াচড়াও হয়। সে দেশের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এ ধরনের প্রস্তুতি খুবই জরুরি।’’

ব্লুমফন্টেনে প্রথম বেসরকারি টেস্ট ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন অভিমন্যু। সে দেশে গিয়ে খুব একটা বেশি প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ পাননি। তবুও নতুন পরিবেশে নেমেই ‘এ’ দলের হয়ে সেঞ্চুরি করা একেবারেই সহজ নয়। ৯০ রানে পৌঁছে খুবই চাপে পড়ে গিয়েছিলেন ঈশ্বরন। স্নায়ুর চাপ কী ভাবে সামলালেন? অভিমন্যুর উত্তর, ‘‘ব্যাটার হিসেবে এটাই সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ইনিংসের শুরুতে যতটা না ভয় লাগে, ৯০-এ পৌঁছলে অনেক বেশি চাপ সামলাতে হয়। সেই সময়টা খুচরো রান নিতে পারলে অনেকটা চাপ কমে যায়। আমি খুচরো রান নিয়েই এগোচ্ছিলাম। তাতে চাপ
কমে গিয়েছিল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Abhimanyu Easwaran India vs South Africa 2021-22
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy