ভারতের প্র্যাকটিসে গম্ভীর। বৃহস্পতিবার ইডেনে। ছবি: উৎপল সরকার।
শেষ টেস্ট ছিল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওভালে। দু’বছর আগে। তার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারে একটা ফাঁকা জায়গা তৈরি হয়েছিল ভারতীয় দল থেকে ছিটকে গিয়ে। দলীপ ট্রফিতে টানা ফর্ম দেখিয়ে ফের টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তনটা তাই তাঁর কেরিয়ারে নতুন মোড়। ইডেন টেস্টে বাইশ গজে নামতে পারবেন কি না এখনও জানা নেই, তবে টেস্ট স্কোয়াডে ফিরে ‘নার্ভাস’। স্নায়ুর চাপের সঙ্গে অবশ্য উত্তেজনাও আছে। টিম ইন্ডিয়ার স্কোয়াডে ফিরে আসার। তিনি— গৌতম গম্ভীর।
ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের অনুভূতি কেমন জানতে চাইতে বিসিসিআই টিভি-কে গম্ভীর বললেন, ‘‘নার্ভাস আবার এক্সাইটেডও। অবশ্যই দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিশেষ করে টেস্ট ক্রিকেটের মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফর্ম্যাটে খেলার সুযোগ পাওয়াটা উত্তেজনার। ব্লু ক্যাপ মাথায় খেলার সুযোগ খুব কম ক্রিকেটারই পায়। তাই এ রকম একটা সুযোগ পাওয়াটা আমার কাছে অবিশ্বাস্য একটা অনুভূতি।’’
কিন্তু এত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতার পরও নার্ভাস কেন লাগবে? গম্ভীর বললেন, ‘‘আমার মনে হয় এটা সবার সঙ্গেই হয়। কেউ একশোটা টেস্ট খেলুক বা একটা, যখন টেস্ট ক্রিকেট খেলার সামনে আসে সে নার্ভাস হয়ে পড়েই। টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার সময় পেট গুড়গুড় করবেই। সেটা এক দিক থেকে ভাল।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘বড় ব্যাপার হল নিজের আবেগকে কেউ কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে সেটা। এক জন ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে আমার মনে হয় টেস্টের প্রথম দিন যদি প্রথমে ব্যাট করতে নামতে হয় তখন একটু স্নায়ুর চাপ থাকে। তবে মাঠে সময় কাটানোর সঙ্গে সঙ্গে সেটা ঠিক হয়ে যায়।’’
এই দু’বছরে নিজের মধ্যে কী কী পরিবর্তন এসেছে? গম্ভীর বললেন, ‘‘এই দু’বছরে ব্যাটিংয়ে কিছু টেকনিক্যাল পরিবর্তন এনেছি। তবে বেশির ভাগ পরিবর্তনটাই এসেছে মানসিক দিক থেকে। নিজের মনে যে সন্দেহগুলো ছিল সেগুলো দূর করা।’’ গম্ভীর আরও যোগ করেন, ‘‘এত দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যে খেলছে সে কিছু টার্গেট ঠিক করে নেয়। সেগুলোয় যে ভাবে চাইছি না পৌঁছতে পারলে সন্দেহ তৈরি হয়। টেস্ট, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকলে সেই সন্দেহগুলো দূর করতে হয়। নিজের উপর রাখতে হয় আরও বিশ্বাস।’’
এত জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর দলীপ ট্রফিতে ৩৫৬ রান করেও কি ভেবেছিলেন দিন টিম ইন্ডিয়ায় ফের ডাক পাবেন? গম্ভীর বললেন, ‘‘সত্যি বলছি দলীপ ট্রফিতে যখন রান পাচ্ছিলাম কাম ব্যাক করার কথা মাথায় ছিল না। আমার ক্রিকেট খেলার কারণ একেবারে আলাদা। সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি যে দলের প্রতিনিধিত্বই করি না কেন, তা সে আইপিএলে কেকেআর হোক, রঞ্জিতে দিল্লি বা দলীপ ট্রফি এক জন ব্যক্তি হিসেবে আমার একটা কাজ আছে, দায়িত্ব আছে, সেটা হল টিমের সাফল্যে অবদান রাখা।’’
আর এত দিন পর স্কোয়াডে ফেরার পর প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা? ‘‘প্রথম দিনটা খুব ভাল লাগল। টিমের প্রায় সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে। রান করার মধ্যে থাকার জোরটা থাকলে একটা আলাদা আত্মবিশ্বাস থাকে। তবে টেস্ট ক্রিকেট অন্য ব্যাপার। টেকনিক্যালের থেকেও বেশি মানসিক চ্যালেঞ্জ। এক বার টেস্ট শুরু হয়ে গেলে ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যায়। নেট করার অনুভূতিটা মাঠে থাকার অনুভূতির থেকে আলাদা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy