দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে বড়সর দুর্নিতির অভিযোগ আনল আপ সরকার। শুধু তাই নয়, সেই দুর্নীতির তদন্তও করতে দিচ্ছে না কেন্দ্র সরকার, এমনটাই দাবি করছে আম আদমি পার্টি। তাদের বক্তব্য এই পুরো ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর সময়েই সব ঘটেছে। সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই অভিযোগ তোলেন আপের পক্ষে রাঘব চাড্ডা।
দু’দিন আগেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অফিসে হানা দিয়েছিল সিবিআই। আপের দাবি, দিল্লি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন অনৈতিক কাজকর্মের তথ্য হাতিয়ে নিতে এবং পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই এই সিবিআই হানা। ১৯৯৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ডিডিসিএ-র সভাপতি ছিলেন অরুণ জেটলি। আপ-এর অভিযোগ, ‘‘অরুণ জেটলির সময় ও তার পরের একবছর পর্যন্ত বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থা গঠন করা হয়েছিল। ২০১৫ পর্যন্ত যেগুলি চলেছে।’’
স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর অফিসে সিবিআই হানার পর বলেছিলেন, সিবিআই আমার অফিসে ডিডিসিএ-র ফাইল খুঁজতে এসেছিল।’’ ফিরোজ শাহ কোটলার স্টেডিয়াম নিয়েও নাকি রয়েছে নানা দূর্নীতি। বলা হয়, ‘‘স্টেডিয়ামের ভেতরে দর্শকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিকাঠামো নেই। আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যাবস্থা থেকে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তা কোনওটাই ঠিক নেই। ফিরোজ শাহ পরিকাঠামোর উন্নতিতে শুরুতে বাজেট ছিল ২৪ কোটি টাকার। শেষ পর্যন্ত তা গিয়ে দাঁড়ায় ১১৪ কোটিতে।’’ আরও অভিযোগ, দিল্লিতে সবকটি বেসরকারি ক্রিকেট অ্যাকাডেমি চলে ডিডিসিএ-র নিয়ন্ত্রণে। তিনটি এমন ক্লাব রয়েছে যাদের ঠিকানা একই। আপ-এর দাবি, এটা সবে শুরু, আরও অনেক তথ্য তারা একে একে সামনে আনবে।
এই অভিযোগ ওঠার পরই মুখ খোলেন দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চেতন চৌহান। তাঁর পাল্টা দাবি, এ সব ভুল তথ্য দিচ্ছে আপ। চেতনের মতে, উল্টে অরুণ জেটলিকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ফিরোজ শাহ কোটলার এতটা উন্নতি করার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy