ফ্রান গঞ্জালেস
কিবু ভিকুনা, ফ্রান গঞ্জালেস, জোসেবা বেইতিয়া, মারিয়ো রিবেরোদের দেশে ফেরানোর জন্য বিশেষ বিমান পাঠাতে চাইছে স্পেন। ভারতে থাকা স্পেনীয় ফুটবলারদের কাছে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠিয়েছে সে দেশের দূতাবাস। ফোনে যোগাযোগ করেছে দ্রুত ফেরার জন্য। শুধু স্পেন নয়, কিবুর সহকারী কোচ পোল্যান্ডের টমাসের কাছেও চিঠি এসেছে তাঁর দেশের দূতাবাস থেকে। কিন্তু আই লিগ নিয়ে ফেডারেশন এখনও কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন কিবুরা। উদ্বেগ নিয়েই প্রতিটি মুহূর্ত তাদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে কলকাতার আবাসনে। নিয়মিত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনও রাস্তাই যে খোলা নেই।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে স্পেনে ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বহু লোক হাসপাতালে। ভারতে থাকা স্পেনীয় কোচ-ফুটবলাদের পরিবারের অনেকেই এমন সব জায়গায় থাকেন যেখানে করোনা মহামারির আকার নিয়েছে। মোহনবাগান সূত্রের খবর, নিজের দেশের দূতাবাস থেকে ফোন এবং চিঠি আসার পর কিবু ভিকুনা একটি চিঠি লিখেছেন ক্লাব কর্তাদের। তাতে তিনি লিখিছেন, ‘‘করোনাভাইরাসে স্পেনের অবস্থা খুব খারাপ। যতদিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি খারাপ বচ্ছে। স্পেনের দূতাবাস আমাদের সঙ্গে গতকালই যোগাযোগ করেছে। তারা এখন বিভিন্ন দেশে যে সব স্পেনীয় কাজ করছে তাদের দেশে ফেরাতে চায়। পোল্যান্ড থেকেও একই চিঠি এসেছে টমাসের কাছে। আমি এবং আমার ফুটবলাররা পেশাদার। লিগ শেষ করেই দেশে ফিরতে চাই। কিন্তু ফেডারেশন তো এখনও কোনও সিদ্ধান্তই জানায়নি। আমরা আমাদের পরিবারের কাছে যত দ্রুত সম্ভব ফিরতে চাই। ব্যবস্থা করুন।’’ স্পেনের দূতাবাস থেকে আসা চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন ফ্রান গঞ্জালেসও।
এই পরিস্থিতিতে কোচ ও ফুটবলারদের সঙ্গে মঙ্গলবার আলোচনায় বসেছিলেন মোহনবাগান কর্তারা। অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘ওদের যন্ত্রণাটা বুঝতে পারলেও কিছুই করতে পারছি না। অসহায় মনে হচ্ছে। চিঠিগুলো ফেডারেশনকে পাঠিয়ে মানবিক হওয়ার জন্য আবেদন করেছি। লিগ শেষ না হলে কী ভাবে ওদের ছাড়ব? বোঝানোর চেষ্টা করছি, স্পেনের চেয়ে কলকাতা অনেক নিরাপদ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy