রবিবার গোল পাবেন মেসি? ছবি রয়টার্স
গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ। লিয়োনেল মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনার আসল পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রবিবার ভোর থেকে। কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তারা। কোপা আমেরিকায় এটি আর্জেন্টিনার ২০০তম ম্যাচ হতে চলেছে।
গত বার কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে থেমে গিয়েছিল আর্জেন্টিনার দৌড়। এবার ফাইনালের আগে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই অনেকটাই চাপমুক্ত হয়ে খেলতে নামবে লিয়োনেল স্কালোনির দল।
ঘুরেফিরে এই ম্যাচেও নজর সেই মেসির দিকেই। এর মধ্যেই দেশের হয়ে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলার নজির গড়ে ফেলেছেন তিনি। বলিভিয়ার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করেছেন। দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন আর্জেন্তিনার এই ফুটবলার।
Una mirada rápida de lo que nos dejó la fecha 5 de la CONMEBOL #CopaAmérica 🏆
— Copa América (@CopaAmerica) June 30, 2021
Uma olhada rápida no que nos deixou a rodada 5 da CONMEBOL #CopaAmérica 🏆#VibraElContinente #VibraOContinente pic.twitter.com/sZBvLbYwTn
LOS GOLES DE ARGENTINA
— Copa América (@CopaAmerica) June 30, 2021
Mira todos los tantos de la albiceleste en la Primera Fase de la CONMEBOL #CopaAmérica 🏆
¿Cuál te gustó más? 🤔#VibraElContinente pic.twitter.com/8cc9a3sWn7
বলিভিয়ার বিরুদ্ধে মেসিকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ থাকলেও সে রাস্তায় হাঁটেননি কোচ স্কালোনি। কারণ তিনি ভালই জানেন দলে মেসি থাকার গুরুত্ব কতটা। আর্জেন্টিনা এখনও পর্যন্ত যতগুলি গোল করেছে, তার ৭০ শতাংশে রয়েছে মেসির অবদান। নিজে তিনটি গোল করেছেন, দুটি গোলের পাস বাড়িয়েছেন।
সেই কারণেই বলিভিয়া ম্যাচের পর সোজাসাপ্টা স্কালোনি বলে দিয়েছিলেন, “এই দলে একজনের জায়গাই পাকা। সেটা কে বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বাকিদের দলে জায়গা অর্জন করে নিতে হবে। মেসি প্রত্যেকটা ম্যাচেই ভাল খেলছে। তাই দলে না রাখা মুশকিলের ব্যাপার। ক্লান্ত হলেও ও ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।”
স্কালোনি একথা বললেও মেসির ক্লান্তি কিন্তু বড় হয়ে দেখা দিতেও পারে। বার্সেলোনার হয়ে গোটা এক মরসুম কাটিয়ে এসেছেন। এখানেও বিরতি পাননি। ফলে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে তরতাজা হয়ে নামাই এখন তাঁর কাছে প্রধান চ্যালেঞ্জ।
স্কালোনির পক্ষে আশার কথা হল, দল এখন খুব একটা মেসি-নির্ভর নয়। অ্যাঞ্জেল ডি’মারিয়া, সের্জিও আগুয়েরো, লাউতারো মার্তিনেসের মতো বুড়ো ঘোড়ারা তো রয়েছেনই। তার পাশাপাশি গুইদো রদ্রিগেস, এমি মার্তিনেস, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো এবং নাহুয়েল মোলিনার মতো তরুণ প্রতিভারাও উঠে আসছেন। গুইদোকে তো ইতিমধ্যেই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সের্জিও বুসকেটসের অনুকরণে ‘আর্জেন্টিনার বুসকেটস’ বলে ডাকা হচ্ছে। মাঝমাঠ দখল নেওয়ায় কার্যকরী ভূমিকা নিচ্ছেন এই ডিফেন্ডার।
তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইকুয়েডর মোটেই হেলাফেলার পাত্র নয়। নিজের দিনে যে কোনও প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে পারে তারা। গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলকে রুখে দিয়েছিল ইকুয়েডর। তবে আর্জেন্টিনাকে স্বস্তিতে রাখছে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে তাদের সাম্প্রতিক রেকর্ড। শেষ তিন ম্যাচে ইকুয়েডরকে ১০ গোল দিয়েছে আর্জেন্টিনা। ২০১৮ বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে হ্যাটট্রিক করে দেশকে বিশ্বকাপে নিয়ে গিয়েছিলেন মেসি।
রবিবার ভোরেও কি তিনি জ্বলে উঠবেন? সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy