হতাশ: হারের জন্য রেফারিকে দায়ী করলেন মেসিরা। ফাইল চিত্র
‘জঘন্যতম এবং পক্ষপাতদুষ্ট’ রেফরিংয়ের জন্যই হার। সরাসরি এই অভিযোগ তুলে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল ফেডারেশনের দ্বারস্থ হল আর্জেন্টিনা। লিয়োনেল মেসির দেশের জাতীয় ফুটবল সংস্থা একেবারে সরাসরি ব্রাজিলের কাছে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ০-২ হারের জন্য দায়ী করল ম্যাচের রেফারি ইকুয়েডরের রদি জ়াম্বানোকে।
নাটক এখানেই শেষ হচ্ছে না। আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়ো তাপিয়া প্রবল সমালোচনা করলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোরও। বেলো হরাইজ়ন্তেতে বুধবারের সেমিফাইনাল দেখতে স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন প্রেসিডেন্টও। তাপিয়ার অভিযোগ, বলসোনারো খেলার বিরতির সময় মাঠে ঢুকে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করে যেটা করেছেন সেটা আসলে একটা রাজনৈতিক প্রচার। তাপিয়ার বক্তব্য, ফুটবল মাঠে কোনও ভাবেই এটা কাঙ্খিত নয়।
ব্রাজিলের কাছে হারের পরে মেসি একেবারে স্বভাববিরুদ্ধ ভাবে বলে বসেন, রেফারি স্বয়ং ব্রাজিলের হয়ে খেলে তাঁদের হারিয়ে দিয়েছেন। যে কোনও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ব্রাজিলের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আর্জেন্টিনাকে দু’টি ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করেছেন। ব্রাজিলের ফুটবলারেরা বল ছাড়া ফাউল করেও কার্ড দেখেননি। এমনকি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একবারের জন্যও ভিডিয়ো প্রযুক্তির সাহায্য নেননি। কার্যত তাপিয়া এই সব কথাই তাঁর চিঠিতে লিখেছেন। সঙ্গে একহাত নিয়েছেন ব্রাজিল ফুটবল ফেডারশনকেও। তাঁর বক্তব্য, ম্যাচের দিন এবং অনান্য সময় আর্জেন্টিনা দলকে যাতায়াতের জন্য ভাল গাড়িও দেওয়া হয়নি। ব্রাজিল দলের ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা হয়নি।
এ দিকে, বৃহস্পতিবার কোপা আমেরিকার অন্য সেমিফাইনালে পেরু ৩-০ গোলে অন্যতম ফেভারিট দেশ চিলিকে হারিয়ে চমকে দিয়েছে। তিনটি গোল করেছেন যথাক্রমে এদিসন ফ্লোরেস (২১ মিনিট), ইয়োসিমার ইয়োতুন (৩৮ মিনিট) ও পাওলো গুয়েরেরো (৯০+১ মিনিট)। অর্থাৎ ব্রাজিল বনাম পেরু কোপা আমেরিকা ফাইনাল হবে ভারতীয় সময় রবিবার রাত দেড়টায়।
ব্রাজিলের জন্য খারাপ খবর, মিডফিল্ডার উইলিয়ান রবিবার খেলতে পারবেন না। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ম্যাচে চেলসির এই ফুটবলার হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। যা বেশ গুরুতর বলে খবর। উইলিয়ান না থাকলেও ফুটবল বিশ্লেষকেরা কিন্তু ফাইনালে ব্রাজিলকে এগিয়ে রাখছেন।
কোপায় পেলের দেশ আট বারের চ্যাম্পিয়ন। তিতের কোচিংয়ে ব্রাজিল ৪২টি ম্যাচ খেলে মাত্র দু’টিতে হেরেছে। তবে আর্জেন্টিনার মতো দলকে সেমিফাইনালে ২-০ হারাতে পেরে তিনি খুবই তৃপ্ত। বলেছেন, ‘‘আমাদের সামনে দু’টো চ্যালেঞ্জ ছিল। লিয়োনেল মেসিকে থামানো প্রথম চ্যালেঞ্জ। ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি লিয়ো অন্য গ্রহের ফুটবলার। ওর সঙ্গে কারও তুলনা হয় না। তাও ছেলেরা যে ভাবে ওকে রুখে দিয়েছে তা দেখে আমি মুগ্ধ। দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জটা ছিল আর্জেন্টিনাকে হারানো। বহুদিন আমি আর্জেন্টিনাকে এত ভাল খেলতে দেখিনি। তবু ব্রাজিল যে ম্যাচটা জিতে ফিরতে পেরেছে তাতে আমি খুবই খুশি। আশা করছি ফাইনালেও ছেলেরা একই রকম লড়াই করে ট্রফি জিতবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy