বৈপরীত্য: রোজারিওর যে হোটেলে হবে মেসি-আন্তোনেলার বিয়ে। যার বাইরে ফুটে উঠছে দারিদ্রের ছবি। ছবি: টুইটার।
জৌলুস এবং অন্ধকার। বৈভব এবং হাহাকার। লিওনেল মেসি এবং কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া গ্যাং।
এর কোনও কিছুই একে অন্যের পাশে বসে না। কিন্তু ঘটনাচক্রে, আগামী শুক্রবার বৈপরীত্যের এই দুনিয়া এক হয়ে যেতে বসেছে। যখন লিও মেসি বিয়ে করবেন তাঁর দীর্ঘদিনের বান্ধবী আন্তোনেলা রোকুজোকে।
ফুটবল ঈশ্বরের রাজকীয় বিয়ের আসর বসছে মেসির জন্মস্থান, আর্জেন্তিনার রোজারিওয়। কিন্তু যে বিলাসবহুল হোটেলে এই বিয়ের অনুষ্ঠান হতে চলেছে, তার চারদিক ঘিরে রয়েছে অপরাধের সাম্রাজ্য। আর্জেন্তিনার কুখ্যাত ড্রাগ মাফিয়া চক্র ‘লস মনোস’ যে সাম্রাজ্য চালায়। যেখানে দারিদ্র, ড্রাগ, রাহাজানি, খুন— এ সব খুব পরিচিত শব্দ।
কেন ঠিক এই অঞ্চলে মেসি বিয়ে করতে চলেছেন, তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা আগেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। স্থানীয় প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ অফিসার, কার্লোস দেল ফ্রেদে যেমন বলেছেন, ‘‘মেসির বিয়েটা বেশি করে সামনে নিয়ে আসছে আমাদের সমাজের বৈষম্য।’’
আর্থিক বৈষম্যের পাশে আরও যে ব্যাপারটা উঠে আসছে, তা হল অপরাধের কালো ছায়া। এই তো ১৭ জুনের ঘটনা। মেসির বিয়ে যেখানে হবে, সেই হোটেল থেকে মাইল খানেকেরও কম দূরত্বে খুন হয়ে যান এক মহিলা। মোটরবাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী এসে চার মহিলার ওপর গুলি চালায়। যে ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫৬ বছর বয়সি এক মহিলার। ঘটনাচক্রে এই মহিলা আবার ‘লস মনোস’ দলের নেতার বোন। এর পর থেকেই আশঙ্কা রয়েছে, আবার কখন ‘গ্যাং ওয়ার’ শুরু না হয়ে যায়। যার মধ্যেই রোজারিওয় এসে হাজির হচ্ছেন মেসি-সহ ফুটবল দুনিয়ার হুজ-হু-রা। এ ছাড়াও থাকবেন বহু সেলিব্রিটি অতিথি। যাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, মেসি নাকি নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এক আর্জেন্তাইন সামরিক অফিসারের ওপর। দু’শো নিরাপত্তকর্মী হোটেল ঘিরে থাকবে। কিন্তু তাতেও কি অস্বস্তি কমবে?
আরও পড়ুন: প্রিয় উইম্বলডনে আসছি ক্ষুধার্ত সেই রজার হয়ে
মেসি এবং আন্তোনেলা— দু’জনেই এক সঙ্গে রোজারিওয় শৈশব কাটিয়েছেন। বিয়ের দিনটায় তাই তাঁরা ফিরে যেতে চেয়েছেন নিজেদের কৈশোরে। কিন্তু স্থানীয় মানুষ এর পিছনে কোনও যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না। স্থানীয় এক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, মিকায়েলা লেনা নামে ২৪ বছর বয়সি এক তরুণী বলেছেন, ‘‘সত্যি বলতে কী, আমি বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলাম, যখন শুনি ওরা এখানে বিয়ে করবে বলে ঠিক করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy