প্রশ্ন: কপিলদের নিয়ে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ। ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ বাছাইয়ের জন্য নির্বাচিত প্যানেল নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়ল। অভিযোগ করা হল, এই প্যানেলই বৈধ নয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র মেনে এই প্যানেল তৈরি করা হয়নি। যে অভিযোগ তুলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এথিকস কমিটির কাছে চিঠি পাঠালেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার এক সদস্য।
গত শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) নতুন এক অ্যাড হক প্যানেল বেছে নেয়। সেই প্যানেলের উপরে দায়িত্ব দেওয়া হয় ভারতীয় দলের নতুন কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফ বাছার। যে প্যানেলে রাখা হয় কপিল দেব, শান্তা রঙ্গস্বামী এবং অংশুমান গায়কোয়াড়কে। কিন্তু এ বার এই প্যানেলের বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে পড়ল। একই সঙ্গে কমিটির তিন সদস্যের বিরুদ্ধেও স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার আজীবন সদস্য, সঞ্জীব গুপ্ত এই নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন এথিকস কমিটিতে।
কেন কপিলদের প্যানেলকে অবৈধ বলা হচ্ছে? অভিযোগে সঞ্জীব গুপ্ত বলেছেন, ‘‘সিওএ-র কোনও এক্তিয়ারই নেই কোচ নির্বাচনের জন্য ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি বাছার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাধারণ বার্ষিক সভাতেই শুধু এই কাজটা হওয়া সম্ভব। এর আগে মেয়েদের ক্রিকেট কোচ হিসেবে ডব্লিউ ভি রামনের নিয়োগের ক্ষেত্রেও এই প্রশ্ন উঠেছিল। ব্যাপারটা এখন বোর্ডের অম্বাডসমানের কাছে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যেই আবার একই ঘটনা ঘটল।’’
তবে এ বার কপিলদের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটিতে রাখা হয়নি। রাখা হয়েছে অ্যাড হক প্যানেলে। সে প্রসঙ্গে সঞ্জীব গুপ্ত বলেছেন, ‘‘কোচ বাছতে পারে একমাত্র ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি। ক্রিকেট কমিটিকে যে দায়িত্ব দেওয়া আছে তা সিওএ কখনও অন্য কোনও কমিটিকে দিতে পারে না।’’
এর পরে আসছে স্বার্থ সংঘাতের প্রশ্ন। সঞ্জীব তাঁর অভিযোগে বলেছেন, ‘‘গঠনতন্ত্রের ৩৮ (৪) আইনে বলা আছে এক ব্যক্তি, এক পদ। যে পদ বেতনভুক বা সাম্মানিক হতে পারে, যে পদ আধা সময় বা পুরো সময়ের জন্য হতে পারে। সব কিছুই এই আইনের আওতায় চলে আসছে।’’
কপিল এবং শান্তা রঙ্গস্বামী— দু’জনেই ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনে ডিরেক্টর পদে আছেন। আবার গায়কোয়াড় আছেন বোর্ডের অন্য এক কমিটিতে। যে কারণে সঞ্জীব স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ এনেছেন।
বিরাট কোহালিদের জন্য নতুন কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফ বাছার কাজটা শুরু হবে ৩০ জুলাইয়ের পরে। ৩০ জুলাই হল আবেদন পাঠানোর শেষ দিন। ইতিমধ্যেই অনেকে হেড কোচ, ফিল্ডিং কোচ ইত্যাদি পদের জন্য আবেদন করেছেন। হেড কোচ পদের জন্য মাহেলা জয়বর্ধনে আবেদন করেছেন বলে শোনা গিয়েছে। ফিল্ডিং কোচের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন জন্টি রোডস। কিন্তু ঘটনা হল, এই অভিযোগের পরে ভারতীয় কোচ বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় কোনও বদল আসে কি না, সেটা দেখার।
রবি শাস্ত্রী বা বর্তমান সাপোর্ট স্টাফকে নতুন করে আবেদন করতে হবে না। তাঁদের নাম এমনিতেই বিবেচিত হবে। যদি না কেউ নাম প্রত্যাহার করে নেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy