পদক নিয়ে সিন্ধু ছবি টুইটার
প্রথম বার কমনওয়েলথ গেমস খেলেছিলেন ২০১৪-এ। গ্লাসগোয় ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরতে হয়েছিল। দু’বছর পর রিয়ো অলিম্পিক্সে রুপো পান। ধরেই নেওয়া হয়েছিল গোল্ড কোস্টে পদকের রং বদলাবে সিন্ধুর। বদলেছিল। তবে সোনা নয়, সে বার ফিরতে হয়েছিল রুপো নিয়েই। বার্মিংহামে অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, অলিম্পিক্স, এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ— এমন কোনও প্রতিযোগিতা নেই যেখানে সিন্ধু পদক জেতেননি। কমনওয়েলথে সোনাটাই এত দিন ছিল না। সেটাও পূরণ হয়ে গেল।
তিন বারের চেষ্টা, ১৩ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর অবশেষে কানাডার মিশেল লি-কে হারিয়ে সাফল্য। সিন্ধুর আবেগ স্বাভাবিক ভাবেই নিয়ন্ত্রণে নেই। সোনা জিতে বললেন, “অনেক দিন ধরে এই দিনটার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। প্রচণ্ড খুশি। অবশেষে সোনা জিততে পেরেছি। আত্মবিশ্বাস বাড়াতে খুব দরকার ছিল সোনা জেতা। চার বছর অপেক্ষা করেছি। ব্যক্তিগত ভাবে খুবই ভাল গিয়েছে এ বারের কমনওয়েলথ গেমস।”
কমনওয়েলথে লক্ষ্য পূরণের পর বিশ্রামে অল্প সময় পাবেন সিন্ধু। টোকিয়োয় ২১ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে আবার সিন্ধুকে নেমে পড়তে হবে বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে। সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, “বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্যে মুখিয়ে রয়েছি। আপাতত এই মুহূর্তটা উপভোগ করতে চাই। সামান্য বিরতি দরকার যাতে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরতে পারি।”
বাড়ি ফিরে বাবা-মার হাতে আগে সোনার পদক তুলে দেবেন বলে জানালেন সিন্ধু। তার পর সবার সঙ্গে উচ্ছ্বাসে মাতার পরিকল্পনাও করে রেখেছেন। বলেছেন, “সবাই মিলে একসঙ্গেই এখান থেকে রওনা হব। বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে উৎসব করব। বাবা-মার সঙ্গে আনন্দ করব। প্রচণ্ড সমর্থন করেছেন আমাকে। এই ম্যাচ দেশে বসেই দেখতে হয়েছে ওঁদের। আমার জন্য যে কঠোর পরিশ্রম এবং দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন ওঁরা, তাতে কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy