অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ের পরে মনু ভাকের। ছবি: পিটিআই।
পদক জিতে কোচ যশপাল রানার নাম নিয়েছেন মনু ভাকের। বার বার বলেছেন পরিশ্রমের কথা। প্যারিস অলিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসাবে শুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জিতেছেন মনু। ভারতীয় কন্যার এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন কোচ যশপাল। কোচের কোন অস্ত্রে প্যারিস অলিম্পিক্সে ইতিহাস গড়েছেন ভারতীয় শুটার?
মনুর অনুশীলনের সময় এক অদ্ভুত শর্ত ছিল কোচের। তিনি দেহরাদূনেই অনুশীলন করুন বা লুক্সেমবার্গে, শর্ত পূরণ না করতে পারলে জরিমানা দিতে হত। প্রতিটি অনুশীলনের আগে মনুকে একটি লক্ষ্য ঠিক করে দিতেন যশপাল। সেই লক্ষ্য পূরণ না করতে পারলে পকেট খালি করতে হত মনুকে।
ব্রোঞ্জ জিতে কোচের সেই পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন মনু। তিনি বলেন, “ধরুন অনুশীলনের আগে কোচ আমাকে লক্ষ্য দিল ৫৮২। আমি ৫৭৮ স্কোর করলাম। চার পয়েন্টের জন্য আমাকে ৪০ ইউরো বা ৪০০ ইউরো জরিমানা দিতে হবে। কত টাকা জরিমানা হবে সেটা ঠিক হয় কোন দেশে রয়েছি।”
জরিমানার টাকার কী করেন যশপাল? সেই টাকা খরচ হয় দুস্থদের জন্য। যশপাল বলেন, “এক বার দেহরাদূনে গরুদের খাবার কেনা হয়েছিল ওই টাকায়। এক বার লুক্সেমবার্গের একটি রেস্তরাঁয় দুস্থদের খাওয়ানো হয়েছিল। রেস্তরাঁর কর্মীরাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।”
একটি পদক জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে চাইছেন না মনু। এর পরে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল মিক্সড ইভেন্ট রয়েছে। ২৫ মিটার এয়ার পিস্তল বিভাগেও নামবেন তিনি। কোচ নিশ্চিত, আরও পদক জিতবেন ছাত্রী। তিনি বলেন, “প্যারিস অলিম্পিক্সের প্রস্তুতিতে নিজের ২০০ শতাংশ দিয়েছে মনু। আমি নিশ্চিত আরও পদক জিতে ও এখান থেকে ফিরবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy