ডিআরএসকে তুলোধুনো করে পূজারাকে একহাত নিলেন ইয়ান চ্যাপেল
ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে ‘ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম’ (ডিআরএস) নিঃসন্দেহে কর্মকর্তাদের উপর বোঝা কমিয়ে দিয়েছে। তবে এই প্রযুক্তিটি তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে এখনও সম্পূর্ণ নয়। তাই বারবার বিতর্কের কেন্দ্রে ডিআরএস। শুধু তাই নয়। ‘আম্পায়ারের ডাক’এ জীবন ফিরে পাচ্ছেন অনেক ব্যাটসম্যান। যা মেনে নিতে পারছেন না অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল।
প্রাক্তন আম্পায়ার সাইমন টাউফেল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও, ইয়ান চ্যাপেল কিন্তু ডিআরএসের তীব্র বিরোধিতা করলেন। তাঁর দাবি পূজারা কি আদৌ শট খেলতে চেয়েছিলেন? ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘‘বেশিরভাগ বল স্টাম্পগুলিতে আঘাত করছে। সেটা কীভাবে আম্পায়ারের কল হতে পারে? বেশিরভাগ বল স্টাম্পে আঘাত করে না। এটা মানতে আমি রাজি নই। তাই ডিআরএসকেও বিশ্বাস করি না। এই প্রযুক্তি বিশ্বাস না করার আরও বেশি কারণ রয়েছে।’’ চ্যাপেল আরও বলছিলেন, ‘‘পুজারা একটি নির্বোধ শট নিয়েছে। আপনি কেন নিজের ক্রিজে লাফিয়ে বাইরে এসে লাথি মারছেন? সেটা করার থাকলে ব্যাট নয়। বরং কাঠ নিয়ে ক্রিজে ব্যাট করতে আসুন!’’
ব্রিসবেন টেস্টের পঞ্চম দিন অন-ফিল্ড আম্পায়ার পূজারকে আউট ঘোষণা না করলে ডিআরএস-এর সাহায্য নেন অজি অধিনায়ক টিম পেন। এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্তের পর্যালোচনা করার পরেও বেঁচে গেলেন চেতেশ্বর পূজারা। কারণ, তৃতীয় আম্পায়ারের মনে হয়েছে যে বল লাইনে ছিল না। ও উইকেটের থেকে অনেকটা উপরে ছিল।
নেথান লায়নের একটি ভেতরে আসা ডেলিভারি স্টেপ আউট করে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেন পূজারা। টিম পেন বেশ কিছুটা সময় নিয়ে ডিআরএস সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভারতের পক্ষে যায়। বল-ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমেও দেখা যায় যে ডেলিভারিটি লেগ-স্টাম্পের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। কারণ বল ট্র্যাকিং মনে করেছিল যে বলের ৫০ শতাংশেরও কম স্টাম্পগুলিতে এসে পড়বে। ‘আম্পায়ারের ডাক’এ বেঁচে যান পূজারা। এরপর দলকে টেনে নিয়ে ২১১ বলে ৫৬ রানে করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy