ম্যাগনাস কার্লসেন। —ফাইল চিত্র।
১৪ বছরের ছোট রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দকে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারিয়ে দিলেন দাবাড়ু ম্যাগনাস কার্লসেন। তার পরেই প্রজ্ঞানন্দকে ‘দানব’ বললেন নরওয়ের দাবাড়ু। ৩২ বছরের কার্লসেন এই মুহূর্তে বিশ্বের এক নম্বর। ২৮ নম্বরে থাকা প্রজ্ঞানন্দ ফাইনালে টাইব্রেকার পর্যন্ত গেলেও জিততে পারলেন না।
২০০২ সালে বিশ্বনাথন আনন্দ দাবা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিলেন। তার পর প্রজ্ঞানন্দই প্রথম দাবাড়ু যিনি এই কৃতিত্ব অর্জন করলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে এই সাফল্য পাওয়া প্রজ্ঞানন্দ সম্পর্কে কার্লসেন বলেন, “ভারতের বেশ কিছু দাবাড়ু এই মুহূর্তে ভাল খেলছে। ক্ল্যাসিকাল ম্যাচে ডি গুকেশ খুব ভাল। প্রজ্ঞানন্দের মানসিকতা দানবের মতো। দাবার ভবিষ্যৎ খুবই সুরক্ষিত। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে জন্ম যে দাবাড়ুদের, তাঁরা এত দিন দাপট দেখিয়েছে। পরের প্রজন্ম এসে গিয়েছে। আমাদের জায়গা নিয়ে নেবে ২০০৩ বা তার পরে জন্ম নেওয়া দাবাড়ুরা।”
কার্লসেন মনে করেন বিশ্বকাপে তাঁকে সেরাদের বিরুদ্ধে খেলতে হয়নি। তিনি বলেন, “আমাকে এ বার সেরা সময়ে থাকা কোনও দাবাড়ুর মুখোমুখি হতে হয়নি। তিন জন তরুণ দাবাড়ুর বিরুদ্ধে খেলেছি। ওরা অবশ্যই খুব ভাল। ওদের বিরুদ্ধে আমি নিজের সেরাটাই খেলেছি। দিনটা আমার ছিল। সব থেকে কঠিন ম্যাচ ছিল ভিনসেন্ট কেমেরের বিরুদ্ধে। এক দানে আমাকে শেষ করে দিতে পারত।”
ম্যাগনাস কার্লসেনের বিরুদ্ধে ক্লাসিক্যাল ম্যাচ দু’টি ড্র করেন প্রজ্ঞানন্দ। টাইব্রেকারে সাদা ঘুঁটি নিয়ে হেরে যান তিনি। পরের ম্যাচটি ড্র হতেই বিশ্বকাপ জিতে যান কার্লসেন। বৃহস্পতিবার প্রথম র্যাপিড রাউন্ডে একটি চাল দিতে সাড়ে ৬ মিনিট সময় নেন প্রজ্ঞানন্দ। ২৫ মিনিটের খেলায় সেই একটি চালই তাঁকে পিছিয়ে দেয়। প্রজ্ঞানন্দের ভুলের সুযোগ নিয়ে ২.৫-১.৫ পয়েন্টে জিতে গেলেন কার্লসেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy