চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছনোর পর লিভারপুলের উচ্ছ্বাস। ছবি:এএফপি।
বুধবার এগিয়ে থেকেই নেমে শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল প্রথম সেমিফাইনালে একাধিক গোল নষ্ট করেছিলেন সাদিও মানে। শুরুতেই সেই গোল নষ্টের খেসারত দিলেন গোল করে। ম্যাচ শুরুর ন’মিনিটের মধ্যেই গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মানে। কিন্তু লিভারপুলই কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতিপক্ষ রোমাকে সমতায় ফিরতে সাহায্য করে সেম সাইড গোল করে। ১৫ মিনিটেই ১-১ হয়ে যায় লিভারপুলের বদান্যতায়। জেমস মিলনারের মুখে লেগে চলে যায় তাঁর নিজেরই গোলে।
কিন্তু আবার এগিয়ে যেতে বেশি সময় নেয়নি লিভারপুল। ২৫ মিনিটে আবার গোল। কর্নার থেকে বক্সের মধ্যে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে তো পারেইনি রোমা ডিফেন্স। বরং এক ব্যাকপাস গোলের সামনেই পেয়ে যান জর্জিনো উইজনালদাম। সহজেই তিনি ২-১ করে দেন লিভারপুলের হয়ে। ২-১ গোলে এগিয়ে থাকা লিভারপুল যে ম্যাচ শেষে চার গোল হজম করে বসবে তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি ফাইনালিস্টরা।
দ্বিতীয়ার্ধটা পুরোটাই ছিল রোমার। লিভারপুল কোনও গোল করতে পারেনি।রোমার জিততে হলে দরকার ছিল আরও চার গোল। সেই লক্ষ্যে প্রথম গোল তুলে নেয় ৫২ মিনিটেই। এডেন জেকোর গোলে ম্যাচে সমতায় ফেরে রোমা। ২-২ হওয়ার পরই আবার ম্যাচ ঘুরে যায় লিভারপুলের দিকে। যদিও আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি উইনাররা। বরং এর পর আরও দু’গোল করে রোমা। দরকার ছিল তিন গোল।
৮৬ মিনিটে নাইনগোলান গোল করে ৩-২ করেন। তখনও মোট ফল ৫-৭। সুযোগও চলে এসেছিল যখন পেনাল্টি পেয়ে গিয়েছিল রোমা। ম্যাচ তখন শেষের অপেক্ষায়। পেনাল্টি থেকে গোল করে যান সেই নাইনগোলান। ওখানেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। ৪-২ গোলে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন লিগ থেকে ছিটকে গেল রোমা। ফাইনাল ফল ৬-৭ লিভারপুলের পক্ষে। ফাইনালে রিয়েল মাদ্রিদের মুখোমুখি লিভারপুল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy