উসেইন বোল্ট মাত্র ৯.৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট সম্পূর্ণ করেছিলেন। এটাই এখনও পর্যন্ত ১০০ মিটার স্প্রিন্টের বিশ্বরেকর্ড। এর চেয়ে কম সময়ে কেউ তা সম্পূর্ণ করতে পারেননি। আর ওই ১০০ মিটার যেতে শ্রীনিবাস কত সময় নিয়েছেন? হিসাব কষে দেখা গিয়েছে, তা ৯.৫৫ সেকেন্ডে সম্পূর্ণ করে ফেলেছেন তিনি। অর্থাৎ বোল্টের থেকে ০.০৩ সেকেন্ড সময় কম নিয়েছেন।
কয়েকশো বছর ধরে চলে আসা এই খেলার বিরুদ্ধে বহুবার সরব হয়েছেন পশুপ্রেমীরা। কারণ এই খেলায় মোষকে তাড়া দেওয়ার জন্য চাবুক দিয়ে আঘাত করা হয়। পশুদের উপরে নির্মম অত্যাচার করা হয় বলে এই উৎসব বন্ধ করার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পেটা। জাল্লিকট্টুর মতো এই খেলাও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে দু’টিকেই ছাড়পত্র দেয় আদালত।
শ্রীনিবাস গৌড়ার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের দাবি, এখনই যেন তাঁকে বোল্টের সঙ্গে তুলনা না করা হয়। কারণ দু’জনের দৌড়ের পরিবেশ, ধরন ও উদ্দেশ্য, সম্পূর্ণ আলাদা। তা ছাড়া, উসেইন বোল্টের দৌড়ের সময়-পরিমাপ যে পদ্ধতিতে করা হয়, তা অনেক বেশি নিখুঁত বলেও তাঁদের দাবি। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া এত হিসেব বোঝে না। সেখানে উসেইন-শ্রীনিবাস তুলনা চলছেই।
সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতেই কর্নাটকের ২৮ বছরের যুবক শ্রীনিবাসের কথা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজুর কাছ পৌঁছেছে। শনিবার টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, “গৌড়াকে সাইয়ের সেরা কোচদের সামনে ট্রায়ালের জন্য ডাকা হয়েছে। ভারতের সমস্ত প্রতিভাকেই দেখে নেওয়া হবে। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত করছি।” পরে তিনি জানান, গৌড়ার বেঙ্গালুরু সাই কেন্দ্রে আসার যাবতীয় ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। সোমবারই তিনি সাই কেন্দ্রে এসে পৌঁছবেন।
যাঁকে নিয়ে এত মাতামাতি, সেই শ্রীনিবাস নিজে বলছেন, ‘‘বোল্টের সঙ্গে অনেকে আমার তুলনা করছেন। বোল্ট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। আমি তো কেবল জলকাদার জমিতে দৌড়ই।’’ সেইসঙ্গে এও জানিয়েছেন, তিনি গত সাত বছর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। এ বারের অপ্রত্যাশিত ঘটনায় তিনি বিস্মিত। তবে শ্রীনিবাস গৌড়ার কথা পৌঁছেছে বিশ্বের দরবারেও। তাঁকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও। (ছবি: আর্কাইভ ও ফেসবুক)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy