বিদায়ী কোষাধ্যক্ষকে নিয়ে নাটক চলছেই সিএবি-তে।
বিশ্বরূপ দে। যাঁকে নাকি সোমবার জরুরি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি আর কোষাধ্যক্ষের পদে নেই। ন’বছর শীর্ষপদে থাকায় তাঁর আর সেই যোগ্যতা নেই বলে ধরে নিয়েছে সিএবি। এমনকী চেকে সইয়ের অধিকারও তাঁর কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে সিএবি-র দাবি। এ বার মঙ্গলবার মেয়র্স কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বরূপ সিএবি কোষাধ্যক্ষ হিসেবে থাকতে পারবেন কি না, এই নিয়ে শুরু হয়ে গেল জলঘোলা।
সিএবি কর্তারা বলছেন, তাঁর আসা উচিত নয়। বিশ্বরূপ বলছেন, লোঢা কমিটির ব্যাখ্যা না আসা পর্যন্ত তাঁর সিএবি-র অনুষ্ঠানে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। সবচেয়ে বড় গোলমালটা বেধেছে এই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র নিয়ে। কলকাতা পুরসভা ও সিএবি-র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বুধবার সকালে, দেশপ্রিয় পার্কে। যে আমন্ত্রণপত্র সবাইকে পাঠানো হয়েছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সিএবি-র দুই যুগ্মসচিব ও কোষাধ্যক্ষ এই অনুষ্ঠানে থাকবেন। যা সিএবি কর্তারা মানতে চাইছেন না। প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘আপনারাই বুঝে নিন উনি এই অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন কি না।’’ অন্যতম সহ-সচিব অনু দত্ত বলছেন, ‘‘বিশ্বরূপের ওখানে থাকার প্রশ্নই নেই। ও গতকাল থেকেই আর কোষাধ্যক্ষ পদে নেই। এখন চেকে সই করারও অধিকার নেই ওর। তা হলে কী করে ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবে ওখানে থাকবে?’’
তা হলে কার্ডে বিশ্বরূপের নাম কেন? এই প্রশ্নে অনু বলেন, ‘‘ওর লোকেরাই তো কার্ড বিলি করেছে। মিডিয়ার কাছে ই-মেল করে কার্ড পাঠিয়েছে ওরাই।’’ সিএবি-র দফতরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুরসভার অনুষ্ঠান বলে কার্ড ছাপা হয়েছে পুরসভারই তত্ত্বাবধানে। আর যাঁদের দিকে আঙুল তুলতে চাইছেন অনু, তাঁরা কেউ ওই কার্ড মিডিয়াতে ই-মেল করেননি বলে দাবি করেন। তাঁরা জানান, যে ই-মেল আইডি থেকে এই মেল এসেছে, সেই ই-মেল নিয়ন্ত্রণ করেন নির্দিষ্ট দু-তিনজন।
এ দিকে যাঁকে নিয়ে এই বিতর্ক, সেই বিশ্বরূপ দে বলে দেন, ‘‘আমি তো যাবই। লোঢা কমিটির ব্যাখ্যা না আসা পর্যন্ত আমাকে আটকানো যাবে না। কাল নাকি লোঢা কমিটির বৈঠক, তার পর হয়তো তাঁরা এর ব্যাখ্যা দেবেন। তার আগে আমি কেন জায়গা ছাড়ব।’’ বিশ্বরূপের দাবি, যে হেতু বোর্ডের নিয়মে সহ-সচিব শীর্ষ পদ নয়, তাই তিনি যে দু’বছর সিএবি-র সহ-সচিব ছিলেন, সেই দু’বছরকে বাদ দিয়ে শীর্ষপদের মেয়াদ ধরতে হবে। অর্থাৎ বিশ্বরূপের দাবি অনুযায়ী, সিএবি-তে তিনি আট বছর কাটিয়েছেন, দশ বছর নয়। বুধবার সকালে দেশপ্রিয় পার্ক থেকে বঙ্গ ক্রিকেটের আবহাওয়া হঠাৎ গরম হয়ে ওঠে কি না, এখন এটাই প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy