প্রস্তুতি: অ্যাপেক্স ভেস্ট পরে অনুশীলনে মেসিরা। ফাইল চিত্র
নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে সোমবার ফিজিক্যাল ট্রেনিং করতে দেখা যাবে বাংলার ক্রিকেটারদের। খেলাধুলার জগতে ‘অ্যাপেক্স ভেস্ট’ বলেই পরিচিত এই যন্ত্র। শেষ মরসুমে বাংলার ক্রিকেটারদের ফিটনেসের মাপকাঠি দেখে হতাশ হয়েছিলেন কোচ অরুণ লাল। তাই এ বার মরসুম শুরু হওয়ার চার মাস আগে থেকেই ফিটনেসের উপরে জোর দিয়েছেন তিনি ও ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জীব দাস। তাঁদের উদ্যোগেই বাংলার ক্রিকেটে আনা হল নতুন প্রযুক্তি।
ম্যান ইউ, ম্যান সিটি, বার্সেলোনার মতো বিখ্যাত ইউরোপের ক্লাবগুলি খেলোয়াড়দের ফিটনেস মেপে এসেছে এই যন্ত্রের সাহায্যে। লা লিগার একটি ম্যাচে লিয়োনেল মেসিকে জার্সির ভিতরে এই ভেস্ট পরেও খেলতে দেখা গিয়েছে। কোপা আমেরিকা চলাকালীন ব্রাজিলের অনুশীলনেও এই ভেস্ট ব্যবহৃত হয়। শেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে দ্বিতীয় টেস্টের পরে বিরাট কোহালিরা এই প্রযুক্তির সাহায্যেই নিজেদের ফিটনেস যাচাই করেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আঞ্চলিক ক্রিকেট মানচিত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়নি। তা শুরু হতে চলেছে বাংলার ক্রিকেটারদের হাত ধরে।
প্রত্যেকটি ভেস্টের মধ্যে রয়েছে দেশলাইয়ের বাক্সের মতো ছোট জিপিএস। যার সাহায্যে হৃদস্পন্দন পরীক্ষা করা যায়। সেই সঙ্গেই একজনের দৌড়ের গতি ও ক্ষমতা আন্দাজ করা যায় এই যন্ত্রের সাহায্যে। এমনকি কোনও বিশেষ ক্রিকেটারের যদি চোট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেটাও ধরা পড়বে সেই যন্ত্রে।
প্রযুক্তির আবিষ্কর্তা এক আইরিশ সংস্থা। বাংলার ক্রিকেটারদের জন্য নতুন ভেস্ট নিয়ে রবিবারই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন সেই সংস্থার প্রতিনিধি পঙ্কজ ওয়াংখেড়ে। তাঁর সঙ্গে কথা বলেই বিশেষ এই ভেস্টের বিস্তারিত কার্যকারিতা জেনে নিল আনন্দবাজার। পঙ্কজ বলেন, ‘‘কোনও খেলোয়াড় যদি চোট পাওয়ার মতো অবস্থায় থাকেন, তাও ধরা পড়ে এই যন্ত্রে। সাধারণত দৌড়ের ক্ষেত্রে দু’টি পায়ে কখনও সমান শক্তি ব্যবহার করা যায় না। ৪৮-৫২ অনুপাতে চলে দু’টি পা। কিন্তু এই অনুপাতে কোনও পরিবর্তন হলেই স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ ডেটার সাহায্যে বুঝতে পারবেন যে, দুই পায়ের ভারসাম্যে সমস্যা রয়েছে। তখনই সেই খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে চোট পাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন দলের ট্রেনার।’’
যন্ত্রের সাহায্যে ১৮টি বিশ্লেষণ উঠে আসে স্ক্রিনে। এমনকি শরীরের ওজন ও গঠন অনুযায়ী কতটা জোরে দৌড়নো উচিত, সেটাও জানিয়ে দেবে ‘অ্যাপেক্স ভেস্ট’। হৃদস্পন্দনে অস্বাভাবিক কিছু থাকলে তা বোঝা যাবে যন্ত্রের সাহায্যে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে। পঙ্কজ বলছিলেন, ‘‘সদ্য সমাপ্ত মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দলও এই ভেস্ট ব্যবহার করে প্রস্তুতি নিয়েছিল। এ ছাড়াও ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দল এই যন্ত্র ব্যবহার করেছে। কোনও শারীরিক অস্বাভাবিকতা আন্দাজ করতে পারলে তার সঙ্কেত পাওয়া যায় যন্ত্রের সাহায্যে। তাই হৃদরোগ বা নিঃশ্বাসের সমস্যা হলে আগে থেকে সতর্ক করে দেয় ‘অ্যাপেক্স ভেস্ট’।’’
সোমবার সকালে ২২ ইয়ার্ডস ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে শুরু হবে বাংলার ফিজিক্যাল ট্রেনিং। প্রত্যেকের তথ্য সংগ্রহ করে রাখা হবে। সেই অনুযায়ী কোন ক্রিকেটারের ফিটনেসে কতটা উন্নতির প্রয়োজন, তথ্য-সহ তা বুঝিয়ে দেওয়া হবে ক্রিকেটারদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy