প্রতিদ্বন্দ্বী: মাঠের বাইরে তাঁদের বন্ধুত্ব থাকলেও বাইশ গজে ওয়ার্নকে শাসন করেছেন সচিন। ফাইল চিত্র
তাঁর ক্রিকেট জীবনে শেন ওয়ার্নের কাছে বারবার দুঃস্বপ্ন হয়ে দেখা দিয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। কিংবদন্তি লেগস্পিনার ওয়ার্নের উপরে কতটা আধিপত্য বিস্তার করতে পেরেছিলেন সচিন, সেটা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে সেই সময়ের এক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের কথায়। তিনি ব্রেট লি। অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন ফাস্ট বোলারের বক্তব্য, বিড়াল যেমন ইঁদুরকে নিয়ে খেলা করে, সচিনও তেমনই ওয়ার্নকে নিয়ে খেলা করতেন।
একটি টিভি চ্যানেলে ব্রেট লি বলেছেন, ‘‘দেখে মনে হত, সচিন ঠিক বিড়াল-ইঁদুরের খেলা খেলছে ওয়ার্নের সঙ্গে। খুব কম ব্যাটসম্যানই ওয়ার্নের সঙ্গে ও রকম করতে পারবে। ওয়ার্নের প্রতিভা সম্পর্কে সবারই ধারণা আছে। কিন্তু নিজের দিনে সচিন স্রেফ ওয়ার্নকে নিয়ে খেলা করত।’’
তাঁদের ক্রিকেট জীবনে কম লড়াই হয়নি সচিন এবং ওয়ার্নের। লি জানিয়েছেন, সচিনকে আউট করতে না পেরে কতটা রেগে যেতেন ওয়ার্ন। কেন সচিনকে আউট করা কঠিন ছিল, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এই প্রাক্তন ফাস্ট বোলার। লি-র কথায়, ‘‘বোলারের হাত থেকেই সচিন বুঝে নিত, বলটা কী রকম হবে। এক এক ধরনের বল খেলার ক্ষেত্রে এক এক রকমের টেকনিক কাজে লাগাত সচিন। এক কথায় অসাধারণ।’’
দুই কিংবদন্তির লড়াই নিয়ে লি আরও বলেছেন, ‘‘মাঝে মাঝে ওয়ার্ন চেষ্টা করত বলের ফ্লাইটে একটু হেরফের করতে। বলটাকে একটু টেনে দিতে। খুব সামান্য পরিবর্তন। কিন্তু প্রতিবারই সচিন ঠিক বুঝে নিত, ওয়ার্ন কী করতে চলেছে।’’ লি যোগ করেন, ‘‘বিশ্ব জুড়ে বাকি ব্যাটসম্যানদের ঘোল খাইয়ে দিতে পারত ওয়ার্ন। কিন্তু সচিনকে নয়। বল ছাড়ার মুহূর্তে ওয়ার্নের হাত সচিন যে-ভাবে দেখত, তা অন্য কেউ পারত না।’’ সচিনের কাছে অসহায় হয়ে পড়া ওয়ার্ন ড্রেসিংরুমে ফিরে কী বলতেন, তা-ও জানিয়েছেন লি। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় পেসারের কথায়, ‘‘ওই ভাবে হারটা ওয়ার্ন ঘৃণা করত। ও ফিরে এসে বলত, আমি সব রকম চেষ্টা করেছি সচিনকে আউট করার। কিন্তু পারিনি।’’
আরও এক প্রাক্তন স্পিনার এখনও সচিন নিয়ে একটা ঘটনার কথা ভুলতে পারেননি। তিনি পাকিস্তানের সৈয়দ আজমল। প্রাক্তন এই অফস্পিনার এখনও মনে করেন, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে তিনি আউট করে দিয়েছিলেন সচিনকে। আজমলের বলে সচিনকে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার সেই আবেদন নাকচ করে দেন। মঙ্গলবার আজমল বলেছেন, ‘‘উইকেটের সামনে সচিনের পা ছিল। বল সোজা গিয়ে পায়ে লাগে। আমি নিশ্চিত ছিলাম, আউট। কিন্তু তৃতীয় আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় ভেঙে পড়ি।’’ সেই সেমমিফাইনালে ৮৫ রান করে ভারতকে জিতিয়ে দেন সচিন।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy