ছবি: সংগৃহীত।
লক্ষ লক্ষ ডলার ঘুষ দিয়ে ২০১৬-র অলিম্পিক্স আয়োজনের দায়িত্ব জিতে নিয়েছিল ব্রাজিল? তেমনই অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে ব্রাজিলের অলিম্পিক্স সংস্থার প্রেসিডেন্ট কার্লোস নুজম্যানকে সম্প্রতি গ্রেফতারও করেছে সে দেশের পুলিশ। এমনকী এর জেরে সে দেশের অলিম্পিক্স সংস্থাকেও নির্বাসনে পাঠাল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটি (আইওসি)। এই মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাসনে থাকতে এই সংস্থাকে। নুজম্যানকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে সে দেশের অলিম্পিয়ানদের জন্য স্বস্তির খবর, এর জেরে আগামী বছর শীতকালীন অলিম্পিক্সে ব্রাজিলের প্রতিযোগীদের অংশগ্রহন আটকাবে না। এই ঘোষনা করা করেছে আইওসি।
নুজম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৯-এ কোপেনহেগেনে আইওসি-র যে সভায় ২০১৬-র অলিম্পিক্স আয়োজক দেশের নাম চূড়ান্ত করা হয়েছিল, সেই সভায় নুজম্যান সেনেগালের প্রতিনিধিদের প্রায় কুড়ি লক্ষ্য ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন, যাতে তারা রিও দে জেনেইরোর পক্ষে ভোট দেয়। এমনকী প্রাক্তন আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের প্রধান লামিন ডিয়াককেও ঘুষ দিয়ে ভোট কিনেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৬-র অলিম্পিক্স আয়োজন করতে শিকাগো, মাদ্রিদ ও টোকিওকে হারায় রিও। ‘কিংগ আর্থার’ ডাক নামের এক ব্রাজিলীয় শিল্পপতি ভোটাভুটির দু’দিন আগে এই ঘুষের নগদ অর্থ দেন বলেও পুলিশের বক্তব্য। এই অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় রিও অলিম্পিক্স আয়োজক কমিটির সিওও লিওনার্দো গ্রিনারকে। নুজম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত দশ বছরে তাঁর সম্পত্তির পরিমান ৪৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কী ভাবে এই বৃদ্ধি ঘটল, তার কোনও স্পষ্ট প্রমাণ নেই পুলিশের কাছে। তিনি তাঁর এই অবৈধ সম্পত্তি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লুকিয়ে রাখারও চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ।
মাস খানেক আগে যখন তাঁকে জেরা করা হয়, তখন তাঁর কাছে শুধু ১৬ কেজি সোনা ছিল বলে ঘোষনা করেন নুজম্যান। তাঁর সঙ্গে ব্রাজিল অলিম্পিক্স সংস্থার অনেকেই রয়েছেন বলে খবর পেয়েছে পুলিশ। তাই পুরো সংস্থাকেও নির্বাসন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আইওসি। যত দিন না এই তদন্ত বন্ধ হচ্ছে, তত দিন এই শাস্তি বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy