অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে ফেডেরার। ছবি:রয়টার্স
ওহ, কী দিন! রবিবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এ বারের অস্ট্রেলীয় ওপেনে দু’টো সবচেয়ে বড় অঘটন ঘটে গেল। রড লেভার এরিনায় সকালের সেশনে ছিটকে গেল পুরুষদের শীর্ষ বাছাই অ্যান্ডি মারে। সন্ধের সেশনে মেয়েদের এক নম্বর বাছাই অ্যাঞ্জেলিক কের্বার। গত পনেরো বছরে এই প্রথম মেলবোর্নের গ্র্যান্ড স্ল্যামে দু’বিভাগেই শীর্ষ বাছাইরা কোয়ার্টার ফাইনালে নেই!
একজন জার্মান হিসেবে স্বভাবতই আমি অ্যাঞ্জিকে সমর্থন করছিলাম। বিশ্বের এক নম্বর জার্মান মেয়ের হারে আমি তাই যথেষ্ট হতাশ। এখানে গোড়ার দিকে ওকে একটু নড়বড়ে দেখালেও আগের রাউন্ডটায় ও কিন্তু নিজের ফর্মে ফিরেছিল। যাই হোক, এ দিন চতুর্থ রাউন্ডে অ্যাঞ্জি ২-৬, ৩-৬ পরিষ্কার উড়ে গিয়েছে মার্কিন তরুণী কোকো ভ্যান্ডেওয়েগের কাছে।
অ্যান্ডি মারে অবশ্য ফর্মেই ছিল। এখানেও শুরুর রাউন্ডগুলোয় ওকে দারুণ দেখিয়েছে। তাই চতুর্থ রাউন্ডে ওর জার্মানির মিসচা জেরেভের কাছে ৫-৭, ৭-৫, ২-৬, ৪-৬ হারটা আরওই আশ্চর্যের। দু’বছর আগেও মিসচার বিশ্ব র্যাঙ্কিং ছিল ১০০০-এর ঘরে। নাম-ডাক যাই বলা যাক, সেটা ছিল আলেকজান্ডার জেরেভের বড় দাদা হিসেবে। কারণ, মিসচার ছোট ভাইকে জন ম্যাকেনরো থেকে শুরু করে অনেকেই মনে করছে ভবিষ্যতের গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন। সে যাই হোক, আলেকজান্ডারের দাদার খেলার স্টাইল কিন্তু মারেকে পুঁতে ফেলল। ছেলেটা প্রথম সার্ভের পর দেদার ভলি মারল, আর দ্বিতীয় সার্ভ করার দরকার পড়লে তার পর নিল প্রচুর স্লাইস শট। এমনকী ফোরহ্যান্ডেও অনেক নিচু রিটার্ন করছিল। তাও কম পেসে! যে রকম খেলার সঙ্গে মারে ঠিক অভ্যস্ত নয়। ও সাধারণত প্রচুর টপস্পিন মারতে, বেসলাইন থেকে লম্বা র্যালি খেলতে অভ্যস্ত। কিন্তু মিসচা ‘ওল্ড স্কুল টেনিস’ বলতে আমরা যে খেলাটা জানি, সেটা খেলে অ্যান্ডির ডিফেন্স নড়িয়ে দিয়েছে।
নোভাকের বিদায়, মারের হারে হঠাৎ-ই মেলবোর্ন পার্কের আবহাওয়া পুরোপুরি নতুন দেখাচ্ছে। নোভাকের হারে ড্র-এর নীচটা আর মারের হারে উপরের দিকটা একেবারে মুক্তাঞ্চল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি এবং বিশ্বাসও করি, বাদবাকিদের মধ্যে যে কেউই এখন চ্যাম্পিয়ন হতে পারে। ফেডেরার বনাম নাদাল ফাইনালের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না। আর সেটা হলে সব টেনিসভক্তই খুশি হবেন। নাদালের পরের দিনই ওর মতো ফেডেরারও পাঁচ সেটে জিতে বোঝাল কতটা ফিট আর স্ট্যামিনা রাখে এখনও। নিশিকোরিকে ৬-৭ (৪-৭), ৬-৪, ৬-১, ৪-৬, ৬-৩ হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে রজার।
তবে স্ট্যান ওয়ারিঙ্কা এখনও টুর্নামেন্টে রয়েছে। ডমিনিক থিয়েম, ডেভিড গফিনের মতো তরুণরাও আছে। মিলোস রাওনিকও জীবন্ত। সুতরাং টুর্নামেন্টটা এখনও যথেষ্ট কড়া। বেশ কয়েক বছর পর এই প্রথম অস্ট্রেলীয় ওপেন দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়ার মুখে নোভাক বা অ্যান্ডির জেতার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, লিখতে হচ্ছে না আমাকে। তার বদলে আমরা হয়তো সামনের রবিবার কোনও নতুন চ্যাম্পিয়ন বা কোনও সিনিয়র চ্যাম্পিয়ন পাব নতুন করে!
মেয়েদের সিঙ্গলসে সেরিনাকে দুর্দান্ত ফর্মে দেখাচ্ছে। ওর প্রতি আমার তীব্র ভালবাসা আর শ্রদ্ধা আছে। মনে হচ্ছে, সেরিনাকে আবার ফাইনালে দেখব। সঙ্গে আমার একটা কালো ঘোড়া-ও আছে। গ্রেট ব্রিটেনের জো কন্টা। গত সপ্তাহেই ও সিডনিতে ওয়ার্ম আপ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গারবিন মুগুরুজার দিকেও নজর রাখছি। রবিবারই ও কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। আর যে কোনও মেয়ের তুলনায় ওকে কোর্টে ভাল দেখাচ্ছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy