পুণেতে শেষ আইপিএল ম্যাচ হয়েছে এক মাস আগে। তার পরে আজ রাজস্থান বনাম বেঙ্গালুরু বিশাল একটা ম্যাচ পাচ্ছে শহরটা। ভারতের প্রত্যন্ত এলাকায় পরীক্ষার্থী যে ভাবে পাল্টে যায়, পিচ কিন্তু সে ভাবে বদলায় না। ম্যাচ নিয়ে কয়েকটা কথা বলছি, কিন্তু এগুলো এগজিট পোলের মতো পড়ে উপভোগ করুন, বেদবাক্য হিসেবে ছড়াতে যাবেন না যেন।
পুণেতে আইপিএলের শেষ ম্যাচে পঞ্জাব টানা তৃতীয় হারের সামনে পড়েছিল। রাজস্থান তখন পরপর জিতছে, মুম্বই ঠিক উল্টোটা। তখনও সরফরাজ খান বা হার্দিক পাণ্ডিয়ার নাম কেউ শোনেনি। ক্রিস গেইল তখনও ওয়ার্ম আপ করছে।
ওই দিনগুলোয় পুণের পিচ শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানদের কঠিন সমস্যায় ফেলছিল। নতুন বল প্রায় সব কিছুই করছিল। পাওয়ার প্লের সময় বেশির ভাগ টিম খারাপ অবস্থায় থাকছিল। সন্দীপ শর্মা ভাল ফর্মে ছিল, উমেশ যাদব আর মর্নি মর্কেলকে দেখে মনে হচ্ছিল সাক্ষাৎ যমদূত। ১৬০ তুলতেই শেষ হয়ে যাচ্ছিল সব টিম।
এটা রাজস্থান-বেঙ্গালুরু ম্যাচের প্রথম থিম। দুটো টিমেই দুর্দান্ত সব ওপেনার রয়েছে। আগের ম্যাচে রাহানে আর ওয়াটসন বিদ্যূৎবেগে রান তুলেছে। ও দিকে গেইল-কোহলি একে অন্যের পরিপূরক হয়ে উঠেছে। পুণে কি ওদের শিক্ষা দেবে? দুটো টিমের দুই পেসার মরিস আর স্টার্ক কি বিধ্বংসী হয়ে উঠবে? দুটো টিম মিলিয়ে এই ম্যাচে কিন্তু চার বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার খেলছে। স্টার্ক, ওয়াটসন, স্মিথ আর ফকনার।
ম্যাচের অন্য থিমটা হল, পুণের মাঠে লোয়ার অর্ডার দারুণ ব্যাট করে থাকে। জেমস ফকনার, আন্দ্রে রাসেল দু’জনই কিন্তু সাতে নেমে দারুণ খেলে দিয়েছিল। এই তথ্যটা রাজস্থানের বড় চিন্তা হয়ে উঠতে পারে কারণ ওদের বোলারদের কাছে শেষের পাঁচ ওভার দুঃস্বপ্নের মতো যাচ্ছে। টিম সাউদি ফিরে গিয়েছে। প্রবীণ তাম্বের মতো প্লেয়াররা বুঝছে, পৃথিবী কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে।
টিম অ্যানালিস্টরা যদি এ সব তথ্য ঘেঁটে দেখে, ডে’ভিলিয়ার্স বা স্মিথকে হয়তো দশ ওভারের পরে নামাবে। পুণের ইতিহাস বা ঐতিহ্যকে সম্মান না দেখালে কিন্তু উদ্ধত টিম যথেষ্ট দুঃখ পেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy