এক দিকে, ইডেন টেস্টের আগে বৃষ্টিতে আক্রান্ত পিচের অবস্থা দেখে নেওয়া। অন্য দিকে, আসন্ন ঘরোয়া ক্রিকেট মরসুমের পিচ-চরিত্র নিয়ে বলে যাওয়া। বোর্ডের পূর্বাঞ্চলীয় কিউরেটর আশিস ভৌমিক শুক্রবার ইডেনে দু’টো কাজই করে গেলেন।

এ দিন সিএবিতে এসে ইডেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় পূর্বাঞ্চলীয় কিউরেটরকে। শুধু তাই নয়, পিচ ও স্কোয়্যারের ছবিও তুলে নিয়ে যান তিনি। পরে আশিস বললেন, ‘‘এখন যে কলকাতায় বৃষ্টি হয়, সেটা আমরা জানি। কিন্তু আমার মনে হয় না বৃষ্টি কোনও সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। দশ দিন সময় পেলেই ই়ডেনের উইকেট তৈরি হয়ে যাবে।’’ কিন্তু সেই দশ দিনের মধ্যে যদি ফের বৃষ্টি হয়? পূর্বাঞ্চলীয় কিউরেটর এ বার বলেন, ‘‘তখন তিন-চার দিন রোদ লাগবে। কারণ ইডেনের নতুন বসানো বার্মুডা ঘাস জল দ্রুত শুষে নেয়।’’

ইডেন থেকে এ দিন বেরনোর সময় আশ্বস্তই দেখিয়েছে পূর্বাঞ্চল কিউরেটরকে। বরং তিনি আসন্ন রঞ্জি ট্রফির উইকেট-চরিত্র বোর্ডের নিয়ম মতো হচ্ছে কি না, বুঝে নিতে চান। তিনি যে কারণে কল্যাণীও যাবেন মাঠ দেখতে। শোনা গেল, রঞ্জিতে যেহেতু এ বার নিরপেক্ষ কেন্দ্রে সমস্ত টিমকে খেলতে হবে, তাই সর্বত্র স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তা না হয়, তা হলে নাকি দায় বর্তাবে তার আঞ্চলিক কিউরেটরের উপর। বিদেশের মাটিতে যাতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের অসুবিধেয় আর না পড়তে হয়, সেটা ভেবেই এমন নিরপেক্ষ কেন্দ্রে ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ করছে বোর্ড।

এ দিকে, এ দিন আসন্ন রঞ্জি ট্রফির জন্য বাংলার প্রাথমিক দল ২২ জনে নামিয়ে আনা হল। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে বাদ পড়েছেন অনুষ্টুপ মজুমদার।