উল্লাস: বার্সেলোনাকে চূর্ণ করে বায়ার্নের মুলারদের উৎসব। ছবি: এপি।
লিয়োনেল মেসি, লুইস সুয়ারেসদের ছত্রভঙ্গ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৮-২ জয়! প্রতিযোগিতার অন্যতম রেকর্ড এই জয়ের পরেও উচ্ছ্বাসে ভাসছে না বায়ার্ন মিউনিখ শিবির। ম্যানেজার হান্স ফ্লিক বলেই দিচ্ছেন, ‘‘এই ম্যাচ অতীত। এ বার সেমিফাইনালের জন্য মনোনিবেশ করতে হবে।’’
শুক্রবার রাতে হওয়া ঐতিহাসিক এই ম্যাচের নায়ক থোমাস মুলারের ঘোর কাটছে না ২৪ ঘণ্টা পরেও। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই পারফরম্যান্স এবং ফলের ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ করা খুব কঠিন কাজ। ম্যাচ সেরা হয়ে ভালই লাগছে। কিন্তু আমাদের দলের বাকিরাও এই পুরস্কারের দাবিদার। দলগত সংহতিকে আমরা এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছি যে আমাদের হারানো খুব কঠিন।’’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক-আউট পর্যায়ে ৮ গোল দিয়ে জয়লাভ এই প্রথম। পাশাপাশি, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ১৯ ম্যাচে টানা জিতল বায়ার্ন। ফ্লিক এই কারণে কৃতিত্ব দিচ্ছেন গোটা দলকেই।
বার্সার বিরুদ্ধে জোড়া গোল করে আবেগাপ্লুত নায়ক মুলারের সংযত প্রতিক্রিয়া, ‘‘ফোন আর এসএমএস বার্তায় ভাসছি। কিন্তু এ বার সব ভুলে যেতে হবে। কারণ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে না পারলে এই জয় অর্থহীন হয়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, এ রকম বড় জয়ের পরেই কিন্তু বিপর্যয় ধেয়ে আসে অনেক সময়ে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘তবে বার্সেলোনার মতো বড় দলের বিরুদ্ধে এ রকম জয়ের আনন্দই আলাদা। বার্সার মতো তারকাখচিত দলের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আমরা আক্রমণাত্মক ছিলাম। বিপক্ষ বলের দখল নিয়ে আমাদের পরাস্ত করলেও ঘাবড়াইনি। বরং আমাদের লক্ষ্য ছিল, বল পেলেই দ্রুত বার্সেলোনা রক্ষণে হানা দিতে হবে। সেটা করতে পেরেছি বলেই এই ফল।’’ ফুটবল বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার এই বড় জয় দেখে তুলনা করছেন ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল বনাম জার্মানির ঐতিহাসিক আর এক ম্যাচে মুলারদের ৭-১ জয়ের মুহূর্তকে। উল্লেখ্য, সেই ম্যাচে জার্মানির হয়ে প্রথম গোলটি করেছিলেন মুলারই। আর বর্তমান বায়ার্ন ম্যানেজার ফ্লিক তখন ছিলেন জার্মান কোচ জোয়াকিম লো-র সহকারী। যে প্রসঙ্গে মুলার বলছেন, ‘‘ব্রাজিলের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচটায় এই খেলার মতো নিয়ন্ত্রণ ছিল না। সে দিন আমরা নিজেদের ছাপিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু বার্সেলোনার বিরুদ্ধে এই ম্যাচে বায়ার্নের প্রত্যেকে শুরু থেকেই নৃশংস ভাবে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রেখে দিয়েছিল।’’
গত ডিসেম্বর মাসে যাঁর আগমনের পরে আমূল বদলে গিয়েছে বায়ার্নের পারফরম্যান্সের লেখচিত্র, দলের সেই ম্যানেজার ফ্লিক আবার জার্মানির ঐতিহাসিক সেই ব্রাজিল-জয় সম্পর্কে পুরনো স্মৃতি রোমন্থনে নারাজ। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘পুরনো সাফল্য না হাতড়ে বর্তমান নিয়েই চলতে পছন্দ করি। বার্সার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেলেও ছেলেরা শেষ পর্যন্ত গিয়ে ট্রফিটা ধরতে চায়। তার জন্য এখনও অনেক কঠোর পরিশ্রম করা বাকি।’’ কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনাকে ছত্রভঙ্গ করে বায়ার্নের এই বড় জয়ের পরে উচ্ছ্বসিত জার্মানির ক্লাবটির কর্তারাও বাহবা দিচ্ছেন ম্যানেজারকে। বায়ার্নের শীর্ষ কর্তা কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে বলছেন, ‘‘দলের এই সাফল্যের কারিগর ফ্লিক। ফুটবলারদের সঙ্গে ম্যানেজারের সুসম্পর্কের ফলটাই পাচ্ছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy