জুটি: ডিন্ডা-শামির যুগলবন্দিই অস্ত্র বাংলার। নিজস্ব চিত্র
হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ঘাসের পিচ তৈরি। বাংলার কোচ সাইরাজ বাহুতুলেও হাবেভাবে বুঝিয়ে দিলেন, ১ নভেম্বর থেকে ম্যাচে সবুজ পিচই থাকছে।
ঋষি ধবনদের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ সরাসরি জিতে সর্বোচ্চ পয়েন্ট আদায় করে নেওয়াটাই লক্ষ্য মনোজ তিওয়ারির দলের। যা ইঙ্গিত, তিন পেসার খেলবেই। মহম্মদ শামি এবং অশোড ডিন্ডা তো আছেনই। ঘরোয়া ক্রিকেটে দেশের সেরা পেস জুটির আখ্যা পেতে পারেন তাঁরা। সঙ্গে প্রতিশ্রুতিমান বাঁ হাতি পেসার কনিষ্ক শেঠ-কেও খেলানো হবে। কনিষ্ক বাঁ হাতি বলে বোলিংয়ে বৈচিত্র যোগ করতে পারবেন। অলরাউন্ডার হিসেবে বি. অমিতকেও খেলানোর কথা হয়েছে। অমিত মিডিয়াম পেস বোলিং করেন। অর্থাৎ, ঘাসের পিচে কার্যত চার জন জোরে বোলার নিয়ে নামতে পারে বাংলা।
সোমবার বাংলার অনুশীলন শেষে বাহুতুলে বলছিলেন, ‘‘আমাদের শক্তি দলের পেস বোলাররা। সেটা মাথায় রেখেই এখানে দল গড়ব আমরা।’’ কিন্তু সবুজ উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য আলাদা কী প্রস্তুতি নিচ্ছেন? বাহুতুলের জবাব, ‘‘উইকেটের কথা মাথায় রেখেই আমরা অনুশীলন করার চেষ্টা করি। প্র্যাকটিসেও ঘাসের উইকেট ব্যবহার করছি। ব্যাটসম্যানদের শর্ট বলে থ্রো ডাউন দিচ্ছি।’’ এই ম্যাচ থেকে কী আশা করছেন, জানতে চাইলে বাংলার কোচ যোগ করেন, ‘‘আমি ধাপে ধাপে এগোতে পছন্দ করি। আমার প্রথম লক্ষ্য প্রথম ইনিংসের লিড। তার পর ম্যাচ জেতার জন্য ঝাঁপাব।’’
যদিও বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, বাংলা শিবির তো বটেই এমনকী, সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও জোর দিচ্ছেন, সরাসরি ম্যাচ জিতে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট অর্জন করার উপর। হিমাচল প্রদেশ এখনও পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে। বাংলার সংগ্রহ দুই ম্যাচ থেকে ১০। গ্রুপের শীর্ষে থাকা হিমাচলকে সরাসরি হারাতে পারলে বাংলাই চলে আসতে পারে শীর্ষে।
হিমাচল প্রদেশের কোচ এখন প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং নির্বাচক বিক্রম রাঠৌর। তিনি আবার বলে গেলেন, ঘাস দেখে ভয় তো পাচ্ছেনই না, বরং উত্তেজিত। বললেন, ‘‘আমি তো ঘরের মাঠে খেলতে নামছি মনে হচ্ছে। ধর্মশালাতেও আমরা সবুজ উইকেটেই খেলি।’’ পাল্টা চাপ তৈরির কাজে নেমে পড়েছেন রাঠৌর। আরও বললেন, ‘‘বাংলার মতো আমাদেরও শক্তি পেস বোলাররা। ওদের শামি, ডিন্ডা রয়েছে। আমাদেরও ঋষি ধবন, অক্ষয় চৌহান, পঙ্কজ জায়সবাল আছে।’’ হিমাচলের অলরাউন্ডার ঋষি ধবন একটা সময় ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। তাঁর নির্বাচন নিয়ে প্রচুর বিতর্কও হয়েছিল। ভারতীয় দলের মূলস্রোত থেকে হারিয়ে গিয়েছেন ঋষি। ইডেনে নামার আগে বলছেন, ‘‘গত তিন ম্যাচে আমাদের দল বেশ ভাল খেলেছে। প্রত্যেকটি বিভাগেই আমরা ভাল করছি। ইডেন আমার প্রিয় মাঠ। তাকিয়ে আছি ভাল করার দিকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy