Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

প্রযুক্তির সাহায্যে চোট পাওয়ার ভয় কাটবে, বললেন সুদীপ

ফিটনেসের মাপকাঠি যাচাই করার জন্য হৃদস্পন্দন থেকে দৌড়ের গতি পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়  এই অ্যাপেক্স ভেস্টের মাধ্যমে। বোঝা যায় শরীরের ভারসাম্য ঠিক রয়েছে কি না।

প্রস্তুতি: সোমবার ‘অ্যাপেক্স ভেস্ট’ পরে অমিত কুইলা। পর্যবেক্ষণ ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জীব দাসের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

প্রস্তুতি: সোমবার ‘অ্যাপেক্স ভেস্ট’ পরে অমিত কুইলা। পর্যবেক্ষণ ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জীব দাসের। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৯ ০৪:২২
Share: Save:

নতুন প্রযুক্তি ‘অ্যাপেক্স ভেস্ট’-এর সাহায্যে নিজেদের ফিটনেস যাচাই করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল বাংলার ক্রিকেটারদের। সোমবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় বাংলার ফিজিক্যাল ট্রেনিং। ট্রেনার সঞ্জীব দাসের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন মাত্রার ট্রেনিং করে নিজেদের ফিটনেস কোন স্তরে রয়েছে, তা বুঝে নিলেন শ্রীবৎস গোস্বামী, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়রা।

ফিটনেসের মাপকাঠি যাচাই করার জন্য হৃদস্পন্দন থেকে দৌড়ের গতি পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয় এই অ্যাপেক্স ভেস্টের মাধ্যমে। বোঝা যায় শরীরের ভারসাম্য ঠিক রয়েছে কি না। এমনকি, স্ক্রিনে উঠে আসে ওয়ার্কলোড-এর মাপকাঠিও। কে কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন, তার আন্দাজও দ্রুত পাওয়া যায় এই প্রযুক্তির সাহায্যে।

সোমবার পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্তমানে সব চেয়ে ভাল জায়গায় রয়েছেন বাংলার পেসার অমিত কুইলা ও আকাশ দীপ। দু’জনের গতি যেমন বেশি, তেমনই ক্লান্তির পরিমাণও কম। কোনও ক্রিকেটারের ডেটায় যদি ক্লান্তির পরিমাণ বেশি লক্ষ্য করা যায়, তা হলে তাঁকে দ্রুত বিশ্রাম দেওয়ার নির্দেশ দিতে হবে স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচকে। কারণ, ক্লান্তির কারণেই পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে বাড়িয়ে দেয় চোট-আঘাতের সম্ভাবনা।

এ দিন প্রত্যেকেই নিজেদের গতি ও ক্ষমতা সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য পেয়ে গিয়েছেন। বাংলার সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় যেমন বলছিলেন, ‘‘এত দিন জানতেই পারিনি, আমি কতটা গতিতে দৌড়তে পারি, বা আমার হৃদস্পন্দন কতটা কষ্ট সহ্য করতে পারে। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে অনুশীলন করার পরে আমার কাছে ছবিটা বেশ পরিষ্কার। কোন জায়গায় উন্নতি করা প্রয়োজন, তা বুঝে গিয়েছি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘শরীরে ক্লান্তির পরিমাণ কতটা, সেই তথ্যও দেখতে পাচ্ছি। চোট সমস্যা কাটাতে এই তথ্যপঞ্জী আমাদের অনেক সুবিধা করে দেবে।’’

বাংলার ফিজিক্যাল ট্রেনার সঞ্জীব দাস বলছিলেন, ‘‘এত দিন ফিজিক্যাল ট্রেনিং করাতাম কোনও নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই। নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে কাজ করে নির্দিষ্ট তথ্য পেলাম। এ বার সেই অনুযায়ী এগোনো যাবে।’’

যদিও এই প্রযুক্তি নিয়মিত ব্যবহার করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই দু’মাস অন্তর প্রত্যেকের পরিসংখ্যান দেখে যাচাই করে নেওয়া হবে, কে কোন জায়গায় রয়েছেন।

লক্ষ্মণের ক্লাস: বাংলার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে তিন দিনের ভিডিয়ো বিশ্লেষণের ক্লাস শেষ করলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। শনিবার অনূর্ধ্ব-১৬ দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠকের পরের দু’দিন সময় রেখেছিলেন সিনিয়র ক্রিকেটারদের জন্য। অভিষেক রামন, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের কোথায় কী ভুল হচ্ছে তা একে একে বুঝিয়ে দিলেন লক্ষ্মণ।

রবিবার বাংলার বাঁ-হাতি ওপেনার রামনের সঙ্গে প্রায় দু’ঘণ্টার ক্লাস চলে লক্ষ্মণের। তাঁর ভিডিয়ো দেখে টেকনিক্যাল ত্রুটি তুলে ধরলেন ভারতীয় ক্রিকেটের ‘ভেরি ভেরি স্পেশ্যাল’। সেই সঙ্গে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানোর কথাও বলে গেলেন তিনি।

রামন বলেন, ‘‘গত বছরের বেশ কিছু ভিডিয়ো নিয়ে বসেছিলেন লক্ষ্মণ স্যর। কয়েকটি ম্যাচে আমার আউট দেখে জিজ্ঞাসা করেন, সেই মুহূর্তে আমার মানসিকতা কী রকম ছিল। কেনই বা এ ধরনের শট খেলতে গেলাম। আমিও ছাত্রের মতো বিস্তারিত তাঁর থেকে জানার চেষ্টা করি। টেকনিক্যাল গাফিলতির থেকেও মানসিক দুর্বলতার কথা বেশি করে বললেন তিনি।’’

ভুল ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি কী ভাবে সেই ভুল থেকে বেরিয়ে আসা যায়, তাও লক্ষ্মণের থেকে জেনে নিলেন প্রত্যেকে।

অন্য বিষয়গুলি:

cricket CAB Bengal Apex Vest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy