অনুরাগ ঠাকুর। ছবি: এএফপি।
কিছুদিন আগেই ভারতীয় দলের নির্বাচকের পদ হারিয়েছেন। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। সেই চুক্তি আর নতুন করে করা হয়নি। লোধা কমিটির দেখানো পথ অনুযায়ী বরং বৈধতা বজায় রাখতে আবেদনপত্র চেয়েই নতুন নির্বাচক কমিটি তৈরি করেছে বিসিসিআই। যাতে বেজায় চটেছেন সন্দীপ পাটিল। তার পরও বলতে শুরু করেন নানা কথা। কোচের পদের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলেন। তাও গ্রাহ্য হয়নি। তার পরই সচিন তেন্ডুলকর ও এমএস ধোনিকে নিয়ে বেশ কিছু গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন। যেখানে তিনি সচিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ও ধোনির একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ব্যাপারে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সেই সময় সচিন অবসর না নিলে সচিনকে বসিয়ে দেওয়া হত। একই বিষয় ধোনির ক্ষেত্রেও।
যেটা ভাল ভাবে নেননি বিসিসিআই সভাপতি অনুরাগ ঠাকুর। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন সন্দীপ পাটিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিসিসিআই-এর পক্ষ থেকে দ্রুত তাঁর সঙ্গে কথা বলা হবে। তিনি বলেন, ‘‘প্রাক্তন নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর এই মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। যখন তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন তখন এই প্রশ্নেরই উত্তর অন্যরকম ভাবে দিয়েছিলেন। যেই সেই পদ চলে গেল বয়ান বদলে গেল। এটা সত্যি অনৈতিক।’’
সন্দীপ পাটিলের এই বক্তব্যে রীতিমতো রেগে আগুন তিনি। তাঁর মতো করে অন্য নির্বাচকরা কোনও কথা বলেননি। যে কারণে অনেকটাই গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে সন্দীপ পাটিলের বক্তব্য। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘এ সব অনৈতিক বক্তব্য থেকে নিজেকে বিরত রাখা উচিত ছিল। ওকে চেয়ারম্যান করা হয়েছিল বিশ্বাস করেই। কারণ দেশের হয়ে দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। সেখানে আরও চারজন নির্বাচক ছিল ওরা কিন্তু কিছু বলেনি।’’ ঠাকুরের মতে এর পর আর পাটিলকে কেউ বিশ্বাস করবে না। বলেন, ‘‘এর পর যদি কোনও সংস্থা তাঁকে নেয় তা হলে তাঁরা ১০ বার ভাববে। তিনি সংস্থা ছাড়ার পর সেই সংস্থার বিরুদ্ধেই কথা বলবেন।’’
সম্প্রতি এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বে নতুন নির্বাচক কমিটি গঠন করেছে বিসিসিআই।
আরও খবর
লোকেশের চোটে জাতীয় দলের দরজা খুলবে গম্ভীরের সামনে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy