কোহলী-বাবরদের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াল সৌরভের বোর্ড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে আসার জন্য সে দেশের ক্রিকেটারদের ভিসা যাতে দ্রুত নিশ্চিত করা হয়, তার জন্য বিসিসিআইয়ের কাছে লিখিত আশ্বাস চেয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভারতীয় বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হবে। কর ছাড় নিয়েও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আইসিসি-কে।
অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হওয়ার কথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান এহসান মানি চেয়েছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দ্রুত ভিসা দেওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করা হোক। বিসিসিআই সেই দাবি মেনে এপ্রিলের মধ্যে লিখিত আশ্বাস দেবে বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ। দুই প্রতিবেশী দেশ ক্রিকেট মাঠে এখন মুখোমুখি হয় কেবল আইসিসি-র প্রতিযোগিতাতেই। কিন্তু সেখানেও সম্প্রতি দু’দেশের ঝামেলা সামনে এসেছে। পাকিস্তানে ২০২০ এশিয়া কাপ হওয়ার কথা ছিল। যদিও কোভিডের কারণে তা পিছিয়ে গিয়েছে এবং চলতি বছর শ্রীলঙ্কায় সেই প্রতিযোগিতা হবে। কিন্তু তার আগে পাকিস্তানে খেলতে যাবে না বলে বেঁকে বসেছিল ভারত। ২০২২-এর এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হওয়ার কথা। সেই প্রতিযোগিতায় ভারত অংশগ্রহণ করবে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
ভারত এবং পাকিস্তান শেষ বার মুখোমুখি হয়েছিল বছর দেড়েক আগে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ম্যাচে ভারত ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৮৯ রানে হারিয়ে দেয় পাকিস্তানকে। ১৪০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত শর্মা। ৭৭ করেছিলেন বিরাট কোহলী।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শেষ বার দু’দেশ মুখোমুখি হয়েছিল ১৯ মার্চ ২০১৬-এ, কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে। সেই ম্যাচে মহম্মদ সামি এবং মহম্মদ আমিরের বোলিংয়ের সামনে একা ঢাল হয়ে দাঁড়ান কোহলী। অপরাজিত ৫৫ রান করে ভারতকে ম্যাচ জেতান। উল্লেখ্য, ৫০ ওভার হোক বা ২০ ওভার, কোনও বিশ্বকাপেই এখনও পর্যন্ত ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। সব ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরে ফের দেখা যাবে কোহলী বনাম বাবর আজম, রোহিত শর্মা বনাম আজহার আলি, যশপ্রীত বুমরা বনাম শাহিন শাহ আফ্রিদির দ্বৈরথ।
পাশাপাশি, এতদিন কর ছাড় নিয়ে আইসিসি-র সঙ্গেও দড়ি টানাটানি চলছিল বিসিসিআইয়ের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়াও যাতে ২০২৩-এর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ আয়োজন করতে কর ছাড় দেওয়া হয়, তার নিশ্চয়তা চেয়েছিল আইসিসি। সেটিও দ্রুত সমাধান করে দেবে বলে জানিয়েছে বিসিসিআই।
করোনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জৈব সুরক্ষা বলয়ে ক্রিকেটারদের থাকতে হতে পারে। তাই দলের সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ২৩ থেকে ৩০ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy