ভারতীয় ক্রিকেটের সুদীর্ঘ ইতিহাসে অনেক ব্যাটসম্যান ছয় মেরেছেন। কিন্তু একটা ছয় সব সময় আলাদা ভাবে প্রশংসা পেয়েছে। আজ থেকে ঠিক দশ বছর আগে ২ এপ্রিলের রাতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নুয়ান কুলশেখরকে লং অনের উপর দিয়ে ছয় মেরেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই রাতে ম্যাচের ৪৮.২ ওভারে ধোনির সেই বিশাল ছক্কা ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে আলাদা গুরুত্ব বহন করে। সেটাই ফের মনে করিয়ে দিলেন যুবরাজ সিংহ। তাঁর মতে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মারা সেই ছক্কা কোনও দিন ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।
এমন বিশেষ দিনে বিশ্বকাপের সেই জার্সি গায়ে চাপিয়ে যুবরাজ টুইটারে একটি ভিডিয়ো বার্তা দিয়েছেন। সে বারের বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে ৩৬২ রান করার পাসাপাশি ১৫ উইকেট নিয়ে প্রতিযোগিতার সেরা হয়েছিলেন তিনি। যদিও সতীর্থদের অবদান নিয়ে বেশি শব্দ খরচ করলেন। ভিডিয়োতে ফের বলেন, “পুরো প্রতিযোগিতা জুড়ে একাধিক ক্রিকেটার ম্যাচ জিতিয়েছে। এমন আবেগ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তবে মাহির কথা বিশেষ ভাবে বলতে চাই। ম্যাচ জিততে অবশ্যই ভাল লাগে। কিন্তু কীভাবে বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো ম্যাচ জিতছি সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা খুচরো রান নিয়েও সেই ম্যাচটা জিততে পারতাম। কিন্তু বল গ্যালারিতে ফেলে ম্যাচ জেতার মধ্যে আলাদা সম্মান ও মর্যাদা বহন করে। তাই ওর সেই ছক্কা ভোলা যাবে না।”
তিনি বলেন, “দেখতে দেখতে বিশ্বকাপ জয়ের দশ বছর কেটে গেল। সময় এত দ্রুত পেরিয়ে যাবে ভাবতেই পারিনি। ঈশ্বর আমার প্রতি সব সময় সদয় থেকেছেন। দেশের হয়ে দুটো বিশ্বকাপ জিতেছি। আর দুটো বিশ্বকাপ জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি বলে নিজেকে ধন্য মনে করি।” এরপরেই তিনি যোগ করেন, “সচিন তেন্ডুলকরের সেটা শেষ বিশ্বকাপ ছিল। তাছাড়া আর আগে কোনও আয়োজক দেশ বিশ্বকাপ জেতেনি। ফলে ট্রফি জেতার তাগিদ আমাদের অনেক বেশি ছিল।”
April 2, 2011 - a day when history was created! We wanted to win the WC for India & for the master @sachin_rt who carried the nation’s expectations over decades!
— Yuvraj Singh (@YUVSTRONG12) April 2, 2021
Indebted to be able to represent India & bring glory to our nation 🙏🏻#AlwaysBleedBlue #WC2011 @ICC @BCCI pic.twitter.com/kCR7pTL6Bx
শেষে যোগ করেন, “২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ২০১১ সালে এত বড় সাফল্য। তবে আমার কাছে বিশ্বকাপ কাপ জয় সব সময় আলাদা গুরুত্ব বহন করে। আমার সকল সতীর্থকে অনেক শুভেচ্ছা। সবাই ভাল থেকো।”