মিরাকেল হল না। গত বারের ত্রিমুকুটের পর এ বার আবদার ছিল ছ’টি ট্রফি জেতার। কিন্তু সমর্থকদের স্বপ্নপূরণে শুরুতেই হোঁচট বার্সেলোনার। দ্বিতীয় পর্বে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিরুদ্ধে হতশ্রী ১-১ ড্র করে স্প্যানিশ সুপার কাপ হাতছাড়া লিওনেল মেসিদের। প্রথম পর্ব বিলবাও ৪-০ জেতায় সোমবার অনন্ত পাঁচ গোলের ব্যবধানে জিততে হত বার্সাকে। কিন্তু মিরাকেল হল কোথায়?
উল্টে দু’পর্ব মিলিয়ে বিলবাও ৫-১ জিতে ৩১ বছরের ট্রফি খরা কাটাল। ঘরের মাঠে মরসুমের গোড়াতেই যে হারে কপালে ভাঁজ বার্সা কোচ লুই এনরিকের। গত সপ্তাহে উয়েফা সুপার কাপে ৫-৪ জিতলেও চার গোল খাওয়ায় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল বার্সার ডিফেন্স নিয়ে। এই ম্যাচের পর প্রশ্নটা আতঙ্কে বদলে যাচ্ছে। যদিও নেইমার অসুস্থতায় ছিলেন না এই ম্যাচে। তার উপর দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ায় জেরার পিকে অহেতুক লাইন্সম্যানের সঙ্গে তর্কাতর্কি করে লালকার্ড দেখায় বার্সেলোনার কাজটা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মেসি-সুয়ারেজ-পেড্রোর জুটি তো ছিল। ৪৩ মিনিটে মেসির গোলে বার্সা এগিয়েও গিয়েছিল। তাতেও জয় এল না কেন? একটাই মাস্টার স্ট্রোকে। মেসিকে আটকে দিয়ে। যখনই মেসি বল পেয়েছেন দু-তিন জন বিলবাও ডিফেন্ডার ঘিরে ধরেছেন। সাপ্লাই লাইন না থাকায় সুয়ারেজও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেননি। সেই সুযোগে প্রথম লেগে হ্যাটট্রিক করা আরিতজ আদুরিজ দ্বিতীয়ার্দের মাঝামাঝি সমতায় ফেরান দলকে।
তবে হারলেও মেসির একটা রেকর্ড কিন্তু রুখতে পারেনি বিলবাও। পাঁচটা স্প্যানিশ সুপার কাপে গোল করার রেকর্ড। সব মিলিয়ে সুপার কাপে মেসির গোলের সংখ্যা দাঁড়াল ১১। পেপ গুয়ার্দিওলার ২০০৯-এর ছ’টি ট্রফি জয়ের রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন চুরমার হওয়ার দিনে এটুকুই সান্ত্বনা বার্সা সমর্থকদের। বোধহয় এনরিকেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy