n কীর্তিমান: বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ী (বাঁ-দিক থেকে) রবি দাহিয়া, রাহুল আওয়ারে, দীপক পুনিয়া, বিনেশ ফোগত ( ডান দিক থেকে দ্বিতীয়) ও বজরং পুনিয়াকে (ডান দিক থেকে প্রথম) সংবর্ধিত করে আর্থিক পুরস্কারের চেক তুলে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু (ডান দিক থেকে তৃতীয়)। নয়াদিল্লিতে। পিটিআই
বিশ্ব কুস্তি চ্যাম্পিয়নশিপ সেমিফাইনালের বিতর্কিত হারটা এখনও ভুলতে পারছেন না বজরং পুনিয়া। তিনি এতটাই যন্ত্রণাবিদ্ধ যে বলে ফেলছেন, অলিম্পিক্স পদকও ওই দুঃখ ঘোচাতে পারবে না। একই সঙ্গে তিনি দাবি তুলেছেন, কুস্তিকে জাতীয় খেলা হিসেবে ঘোষণা করা হোক ভারতে। ‘‘আমারও মনে হয় কুস্তিকে জাতীয় খেলা করা উচিত। কারণ, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও অলিম্পিক্স থেকে ধারাবাহিক ভাবে কুস্তিতে পদক আসছে।’’ এর আগে জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংহ কুস্তিকে জাতীয় খেলা করার কথা বলেছিলেন। ভারতের জাতীয় খেলা কী, কয়েক বছর আগে তথ্যের অধিকার আইনে তা জানতে চেয়েছিল ১২ বছর বয়সি এক খুদে। তার উত্তরে ক্রীড়ামন্ত্রক জানিয়েছিল, জাতীয় খেলা হিসেবে কিছু এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
হরিয়ানার ২৫ বছর বয়সি কুস্তিগির বজরং ৬৫ কেজি বিভাগের সেমিফাইনালে কাজাখস্তানের স্থানীয় ফেভারিট দওলেত নিয়াজ়বেকভের কাছে হেরে যান। দু’জনে ৯-৯ অবস্থায় থাকার পরে বিচারকদের রায়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় নিয়াজ়বেকভকে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল বিতর্ক হয়। এখনও যে হার মানতে পারছেন না বজরং। তিনি বলেছেন, ‘‘পক্ষপাতিত্ব বা প্রতারণার শিকার হয়ে যখন হারতে হয়, তখন মনটা ভেঙে যায়। আমি সে দিন কোনও ভুল করিনি। নিজের দোষে সোনা হাতছাড়া হয়নি। ’’ ব্রোঞ্জ পেলেও হতাশ বজরং বলেছেন, ‘‘আমি জানি এই যন্ত্রণা আমাকে ভুলে যেতে হবে। এই হারকে দূরে সরিয়ে দিয়ে ভবিষ্যতে পদক জেতার জন্য ঝাঁপাতে হবে। কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই সহজ নয়। এই ঘটনা ভোলা যায় না।’’
সামনের বছর টোকিয়ো অলিম্পিক্সে পদক জিতলে কি দুঃখ কিছুটা কমবে? এই মুহূর্তে বজরংয়ের জবাব হল, না। তিনি বলছেন, ‘‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ আর অলিম্পিক্স সম্পূর্ণ দুটো আলাদা প্রতিযোগিতা। আমি এখন অলিম্পিক্সের জন্য তৈরি হচ্ছি। তার আগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্যও প্রচুর পরিশ্রম করেছিলাম। তাই এই ভাবে হেরে যাওয়াটা ভুলতে পারব না। যখনই এই ধরনের ঘটনা ঘটবে, তখনই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের কথা মনে পড়ে যাবে।’’গত বছর এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী বজরং জানাচ্ছেন, এ রকম ঘটনা তাঁর জীবনে আগেও ঘটেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy