ভক্তদের অভিবাদন ভাইচুং ভুটিয়ার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
কোচিং নয়, সুয়োগ পেলে ইস্টবেঙ্গলের প্রশাসনে আসতে আগ্রহী ভাইচুং ভুটিয়া। রবিবার ক্লাব শতবর্ষের উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিছিলে যোগ দিয়ে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলে দিলেন, ‘‘কোচিং ব্যাপারটা এখনও আমার ঠিক পছন্দ নয়। আমি ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে। সতেরো বছর বয়সে লাল-হলুদ জার্সি পরেছিলাম বলেই আজ আমি ভাইচুং হয়েছি। সব চেয়ে বেশি সময় খেলেছি এখানেই। যদি ক্লাব আমাকে প্রশাসনে আনতে চায়, তা হলে সাহায্য করতে পারি। প্রশাসক হিসাবে কাজ করতে বেশি আগ্রহী। ’’
শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে লিগ বা ডুরান্ডের কোনও ম্যাচ খেলে অবসর নিতে চান ভাইচুং। তেমনই ঘোষণা করেছিলেন আগে। কিন্তু এখনও কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেননি। ভাইচুং বললেন, ‘‘অবসর নেওয়া কোনও বড় ব্যাপার নয়। যে কোনও দিন কোনও একটা ম্যাচ খেলে অবসর নিয়ে নেব। প্রশাসক হিসাবে ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হলে ভাল লাগবে। এই ক্লাবের কর্তা, সদস্য, সমর্থকদের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক। যদি ক্লাবের জন্য কিছু করতে পারি, ভাল লাগবে।’’
ইতিমধ্যেই ভাইচুং ভারতীয় ফুটবলের রূপরেখা নিয়ে দুই প্রধানের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বলে দিয়েছেন, ‘‘দেশের কোনও টুনার্মেন্টই এই দুই ক্লাবকে বাদ দিয়ে হতে পারে না।’’ যা থেকে স্পষ্ট, আইএসএলকে দেশের সর্বোচ্চ টুনার্মেন্ট করা হলে তাতে যেন ইস্টবেঙ্গলও সামিল হতে পারে।
ভাইচুং ক্লাবের প্রশাসনে আসতে চান। আর শতবর্ষে আই লিগ চান সুভাষ ভৌমিক। খেলোয়াড় ও কোচ হিসাবে ইস্টবেঙ্গলকে সব চেয়ে বেশি ট্রফি দেওয়া সুভাষ এ দিন ক্লাব তাঁবুতে ভাইচুংয়ের সঙ্গে ‘মশাল’ গ্রহণ করার অনুষ্ঠানে এসে সুভাষের মন্তব্য, ‘‘শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল আই লিগ জিতছে দেখতে চাই। বহুদিন তো ক্লাব আই লিগ পাইনি।’’ এর পরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘স্প্যানিশ কোচেদের এখন সারা বিশ্বে কদর কোথায়? সাফল্যই বা সে ভাবে কোথায়?’’
এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আবেগপ্রবণ সুকুমার সমাজপতি। বলছিলেন, ‘‘শতবর্ষের এই অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে মনে হচ্ছে জীবন সার্থক। এটা তো আমার ক্লাব।’’ এ দিন ইস্টবেঙ্গল অনুষ্ঠানে তিনিই ছিলেন সবথেকে সিনিয়র ফুটবলার। আর মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়—ইস্টবেঙ্গলের দুই ঘরের ছেলেই বলে দিলেন, ‘‘এটাই ইস্টবেঙ্গল। এটাই আবেগ।’’
কিন্তু যাঁদের কাছে আই লিগ চাইছেন আশিয়ান জয়ী কোচ এবং অসংখ্য সদস্য-সমর্থক, সেই আলেসান্দ্রো মেনেন্দেসের দল নিয়েই তো ক্লাবে নানা গুঞ্জন। ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এ দিনই বলে দিয়েছেন, ‘‘শতবর্ষের দল গঠন নিয়ে এখনও আমরা খুশি নই। ভাল বিদেশি এলে পরে যদি সমস্যা মেটে, তা হলে আলাদা কথা।’’
দল গঠনের দায়িত্বে থাকা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ক্লাবের দূরত্ব ক্রমশ বাড়ছে। তাদের ইস্টবেঙ্গল থেকে শতবর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সংস্থার প্রধান কর্তা আসবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। শোনা যাচ্ছে, বর্তমান মরসুমের পরে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারীরা আর থাকতে আগ্রহী নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। এটা কি ঠিক? প্রশ্ন করা হলে শীর্ষকর্তা বলে দেন, ‘‘এখনও ওরা টিম চালাচ্ছে। শুনেছি কোম্পানির শেয়ার পড়ে গিয়েছে বলে সমস্যায় আছে। আমরা প্রথম দিন থেকেই স্পনসর খুঁজছি। পেলে যা করার করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy