অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জেতার পথে রাফায়েল নাদাল।
টেনিস বিশ্বে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জেতা হয়ে গেল রাফায়েল নাদালের। এই রেকর্ড গড়া হয়ত সম্ভব হত না এক জন উদ্বাস্তু এবং দুই খুদে না থাকলে।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে রবিবার রাশিয়ান দানিল মেদভেদেভকে হারানোর সঙ্গে সঙ্গে রজার ফেডেরার ও নোভাক জোকোভিচের ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জয়ের রেকর্ড টপকে গেলেন নাদাল। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার পাঁচ সেটের লড়াইয়ে নাদাল জেতেন ২-৬, ৬-৭ (৫), ৬-৪, ৬-৪, ৭-৫ গেমে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এক উদ্বাস্তু প্রতিবাদী মাঠে ঢুকে পড়েন। আর একবার দু’জন ‘বল কিড’-এর সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন মেদভেদেভ। মনে করা হচ্ছে, এই দু’টি ঘটনা তাঁর মনোসংযোগ নষ্ট করে দিয়েছিল। নাদালের কাজ সহজ করে দিয়েছিল।
Some bozo just jumped out of the stands onto the court (probably about three meters), got dragged out.#AusOpen pic.twitter.com/u4xzjTaIEf
— Ben Rothenberg (@BenRothenberg) January 30, 2022
তখন দ্বিতীয় সেট চলছিল। হঠাৎই রড লেভার এরিনার গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড থেকে এক জন হাতে পোস্টার নিয়ে সোজা কোর্টে ঢুকে পড়েন। সেই পোস্টারে লেখা ছিল, ‘উদ্বাস্তুদের ধরপাকড় বন্ধ করা হোক।’ নিরাপত্তা ভেদ করে এ ভাবে কী করে এক জন কোর্টে ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে সবাই হতচকিত হয়ে যান। ওই ব্যক্তিকে স্টেডিয়াম থেকে বের করে না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তারক্ষীরা নাদাল এবং মেদভেদেভকে ঘিরে রাখেন। সেই সেট মেদভেদেভ জিতলেও পরের তিনটি টেস্ট হেরে যান তিনি।
Medvedev cracks it AGAIN - this time at the ballkids! 😳
— Wide World of Sports (@wwos) January 30, 2022
Nobody is safe from Daniil's rage!#AusOpen - Live on Channel 9 and 9Now. Ad-Free Live & On Demand on Stan Sport pic.twitter.com/AS4wTC2hS6
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে বল কিডদের নিয়ে। তাদের বল দেওয়া নিয়ে খুশি হতে পারেননি মেদভেদেভ। নিয়ম অনুযায়ী কোর্টে সব সময় ছ’টি করে বল থাকে। এর মধ্যে দু’টি থাকে যিনি সেই সময়ে সার্ভিস করছেন, তাঁর কাছে। দু’টি করে বল থাকে কোর্টের যে দিকে সার্ভিস হচ্ছে, সেই দিকে থাকা দুই বল কিডের কাছে। কিন্তু মেদভেদেভ আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ করেন, সব সময় দুই বল কিডের কাছ থেকে দু’টি করে বল তিনি পাচ্ছিলেন না। আম্পায়ারকে তিনি বলেন, ‘‘এরা কি এক জন আর এক জনকে বল পাস করতে পারে না? এদের কি এটা বারণ করে দেওয়া হয়েছে?’’ এই নিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কাতর্কি চলে।
সেই সময়ে ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে প্রাক্তন ব্রিটিশ খেলোয়াড় টিম হেনম্যান বলেন, ‘‘জানি না, দু’জনের কাছে দু’টো করে বল না থাকলে বাড়তি কোনও অসুবিধে হবে কি না। পুরোটাই হয়ত মানসিক ব্যাপার।’’
অনেকেই বলছেন, এই দু’টি ঘটনা না ঘটলে হয়ত প্রথম দুই সেট জেতা মেদভেদেভ পরের তিনটি সেট হেরে যেতেন না। নাদালেরও হয়ত ফেডেরার আর জোকোভিচকে এ বার টপকানো হত না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy