কলকাতা ও নর্থ-ইস্ট ম্যাচে গোল করছেন হিউম। ছবি: সংগৃহীত।
কলকাতা ১ (হিউম)
নর্থ-ইস্ট ১ (ভেলেজ)
ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই কলকাতার ঘরের মাঠে নর্থ-ইস্টকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ভেলেজ। আর সেই গোল শোধ করতে কলকাতার লেগে গেল ৯০ মিনিট। তাও শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট নিয়ে ঘরের মাঠে মুখ রক্ষা হল মলিনার। পুরো ম্যাচেই গ্যালারিতে বসে হতাশায় মাথা নাড়তে দেখা যাচ্ছিল অ্যাটলেটিকো কলকাতার অন্যতম মালিক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। শেষ বেলায় হাসি ফুটল তাঁর মুখে। বাঁচালেন ইয়ান হিউম।
ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই নর্থ-ইস্টের একটা আক্রমণ। কলকাতার ভুলও বলা যেতে পারে। আলফারো বল বাড়িয়েছিলেন কলকাতা ডিফেন্ডার অর্ণব মণ্ডলকে। কিন্তু তিনি সেই বলের নাগাল পাননি। আর এক কলকাতা প্লেয়ার প্রবীর দাসের গায়ে লেগে বল চলে যায় নিকোলাস ভেলেজের কাছে। চলতি বলেই তাঁর শট দেবজিৎকে পরাস্ত করে চলে যায় গোলে। এর পরের পুরো ম্যাচটাই নর্থ-ইস্টের ব্যবধান ধরে রাখার খেলা। মাঝে যে সুযোগ তৈরি হল তা দক্ষতার সঙ্গে আটকে দেন এটিকে গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার। না হলে ব্যবধান বাড়তে পারত। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লালরিনডিকাকে তুলে অবিনাশ রুইদাসকে নিয়ে আসেন মলিনা। যদিও তাতে মাঝ মাঠ থেকে বল সাপ্লাইয়ে বিশেষ কিছু উন্নতি হয়নি। এর মধ্যেই কলকাতা রক্ষণকে দেখা গেল রীতিমতো খাবি খেতে। কলকাতার রক্ষণ নিয়ে প্রথম থেকেই চাপে ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। এদিন যেন তা আরও চাপে ফেলে দিল মলিনাকে।
এই হতাশার মধ্যেই এক টুকরো আশার আলো হয়ে জ্বলে উঠলেন হিউম। ৯০ মিনিটে যখন নর্থ-ইস্টের রক্ষণের ভুলে কলকাতাকে সমতায় ফেরালেন তিনি। পোস্তিগার ফ্রিকিক নির্মল ছেত্রী হেড করে বাইরে বের করা চেষ্টা করেও সফল হননি। বক্সের কোনা থেকে হিউমের গোলমুখি মাপা শট বাঁচানোর চেষ্টাও করার সময় পাননি গোলকিপার সুব্রত পাল। যার ফল এক পয়েন্ট নিয়ে মান বাঁচল কলকাতার।
আরও খবর
মু্ম্বই-গোয়া ম্যাচ গোলশূন্য ড্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy