চর্চায়: গুজরাতের বিরুদ্ধে বাংলার দলে নেই ডিন্ডা ও সুদীপ (ডান দিকে)।
গত বছর বাংলার কোচ হওয়ার পরে অরুণ লাল বলে দিয়েছিলেন, ‘‘পারফর্ম করো, নয়তো দলের বাইরে বসো।’’ যে মন্তব্য চাপ তৈরি করেছিল বাংলার ক্রিকেটারদের মধ্যে। তবুও শেষ মরসুমে নিজের মন্তব্য অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেননি অরুণ। প্রত্যেক ক্রিকেটার পর্যাপ্ত সুযোগ পেয়েছিলেন। কেউ নিজেদের প্রমাণ করেছেন। কেউ এখনও ব্যর্থ।
ব্যর্থতার তালিকা গঠন করা হলে একটি নাম জ্বলজ্বল করতে বাধ্য। বাংলার প্রাক্তন সহ-অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের। গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি। শেষ সাত ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ রান ২৪। চলতি রঞ্জি ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচেও ব্যাটে রান আসেনি। অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে স্লিপে তাঁর হাত থেকে সহজ ক্যাচ পড়েছে। তাই সোমবার গুজরাতের বিরুদ্ধে ১৬ জনের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন বাংলার অভিজ্ঞ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান সুদীপ। পরিবর্তে নেওয়া হল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অধিনায়ক কাজি জুনেইদ সৈফিকে।
সুদীপের পরিবর্তে যদিও নতুন সহ-অধিনায়ক এখনও ঠিক হয়নি। কোচ অরুণ লালের ব্যাখ্যা, ‘‘খুবই কঠিন সিদ্ধান্ত। বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে একাধিক ম্যাচ বাঁচিয়েছে। কিন্তু ওর বর্তমান ফর্ম বিবেচনা করে দেখা হয়েছে। গুজরাতের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে আমরা কী করে ফর্ম হারানো ক্রিকেটারকে দলে রাখি! অনূর্ধ্ব-২৩ বিভাগে নিয়মিত পারফর্ম করছে কাজি। তাই কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যানকে দলে নেওয়া হয়েছে।’’ অরুণ যোগ করেন, ‘‘অনূর্ধ্ব-২৩ দলে পারফর্ম করে রঞ্জি ট্রফিতেই যদি সুযোগ না পায়, তা হলে পারফর্ম করার উদ্দেশ্য কী!’’
সুদীপের পরিবর্ত হিসেবে বাংলা দলে সুযোগ পাওয়া এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান এখন দুরন্ত ছন্দে। অধিনায়ক হিসেবে অনূর্ধ্ব-২৩ ওয়ান ডে-তে বাংলাকে ভারতসেরা করার কাণ্ডারি তিনিই। ১১টি ম্যাচে তাঁর রানসংখ্যা ৫০০। ১টি সেঞ্চুরি। কর্নেল সি কে নাইডু ট্রফির প্রথম তিন ম্যাচে ইতিমধ্যে ৩৫০ রান করে ফেলেছেন। দু’টি সেঞ্চুরিও রয়েছে তাঁর। তরুণ ব্যাটসম্যান বলছিলেন, ‘‘সুদীপদার পরিবর্ত হিসেবে সুযোগ পাওয়ার চাপ তো থাকবেই। কিন্তু আমি তৈরি। সি কে নাইডু ট্রফির প্রথম দুই ম্যাচে রান পেয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতেও রাজি। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটাই দেব।’’
সুদীপকে বাদ দেওয়ার দিনই ফেরানো হল না অশোক ডিন্ডাকে। শোনা যাচ্ছে, দলের অনেকেই ডিন্ডার আচরণে সন্তুষ্ট নন। দল নির্বাচন করার আগে নির্বাচকদের কমিটি কোচ ও অধিনায়ককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই দলের বাইরে ডিন্ডা। সিএবি সচিব অভিষেক ডালমিয়া বলেছেন, ‘‘টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনার পরে নির্বাচকেরা আপাতত ডিন্ডাকে দলের বাইরে রাখার সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।’’
এখনও প্রশ্ন থাকছেই। সিএবি ডিন্ডাকে বাদ দেওয়ার কারণ, সরকারি ভাবে ঘোষণা করছে না। তা হলে কি এখানেই শেষ হয়ে গেল বাংলার পেসারের রঞ্জি যাত্রা?
ঘোষিত বাংলা দল: অভিমন্যু ঈশ্বরন (অধিনায়ক), শ্রীবৎস গোস্বামী (উইকেটকিপার), মনোজ তিওয়ারি, কৌশিক ঘোষ, অভিষেক রামন, অর্ণব নন্দী, ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপ, বি অমিত, মুকেশ কুমার, ঋত্বিক রায়চৌধুরী, অনুষ্টুপ মজুমদার, সুদীপ ঘরামি, শাহবাজ আহমেদ, কাজি জুনেইদ সৈফি ও অয়ন ভট্টাচার্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy