অসহায়: দলের সঙ্গে এলেও মাঠে নামতে পারলেন না মেসি। রয়টার্স
ব্রাজিল রয়েছে অপ্রতিরোধ্য মেজাজে। আর্জেন্তিনার খারাপ সময় কাটছে না।
মঙ্গলবার বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে নেমেছিল লাতিন আমেরিকার দুই মহাশক্তি। নব্বই মিনিট শেষে দুই ভিন্ন ছবি দুই শিবিরে।
টানা আট ম্যাচ জিতে প্রথম দেশ হিসেবে আগামী বছরের বিশ্বকাপে পৌঁছল ব্রাজিল।
অপয়া লা পাজ আবার কাঁটা হয়ে উঠল আর্জেন্তিনার। বলিভিয়ার বিরুদ্ধে ০-২ হেরে আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপে যাওয়ার রাস্তা আরও কঠিন হয়ে উঠল।
তিতের অধীনে ব্রাজিলের থামার কোনও নাম নেই। প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন, ব্রাজিলের দাপটে ম্যাচ শেষে মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হচ্ছে তাঁদের। প্যারাগুয়েরও সেই এক অবস্থা হল। নেমার, কুটিনহোদের দাপটে ৩-০ জিতল ব্রাজিল। চার ম্যাচ বাকি থাকতেই রাশিয়া বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করে ফেলল সেলেকাওরা। যে ম্যাচের স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকল নেমারের গোল। পেনাল্টি নষ্ট করলেও অবিশ্বাস্য একটা গোল উপহার দিলেন নেমার। ব্রাজিলের অর্ধ থেকে শুরু হয় নেমারের দৌড়। গতিতে ডিফেন্ডারদের পিছনে ফেলে দিয়ে সুন্দর ফিনিশ বার্সা ফরোয়ার্ডের। ব্রাজিল জার্সিতে এটা ছিল নেমারের ৫২ নম্বর গোল।
নেমার ছাড়াও গোলের তালিকায় ছিলেন মার্সেলো ও ফিলিপ কুটিনহো। শতবর্ষের কোপায় গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল ব্রাজিলের আধিপত্যের সময় কি তবে ফুরিয়ে গিয়েছে? তিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ছবিটা পাল্টেছে। ব্রাজিল ফিরেছে তাদের চেনা মেজাজেই। দুর্দান্ত সমস্ত স্কিল। চোখ ধাঁধানো গোল। সুন্দর ফুটবলের মহড়া যাকে বলে। বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠে ব্রাজিল কোচ তিতে বলছেন, ‘‘আমার ভাল লাগে যখন আমার আশেপাশে সবাইকে খুশি দেখি। সে আমার পরিবার হোক বা ফুটবলার, বাকিদের খুশি করতে পারলে দারুণ লাগে। আজকে সে রকমই একটা দিন।’’
এরিনা কোরিন্থিয়ান্স যখন সাক্ষী থাকল অপ্রতিরোধ্য ব্রাজিলের, তার থেকে প্রায় দু’হাজার কিলোমিটার দূরে লা পাজের ছবিটা ছিল অন্য রকম। বলিভিয়া ম্যাচের ছ’ঘণ্টা আগে ফিফার কোপে পড়ে সাসপেন্ড হতে হয় মেসিকে। রাজপুত্রকে ছেড়ে অপয়া লা পাজে ফের ধাক্কা খেলো আর্জেন্তিনা। বলিভিয়ার বিরুদ্ধে ০-২ হেরে আরও চাপ বাড়ল আর্জেন্তিনার উপর। বলিভিয়ার গোলদাতা খুয়ান আর্ক ও মার্সেলো মোরেনো। পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার ছিল মেসি ছাড়া আর্জেন্তিনা ঠিক কতটা দুর্বল। আরও একবার সেটার প্রমাণ পাওয়া গেল। পাঁচ বার ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলারকে ছেড়ে আর্জেন্তিনা আক্রমণ খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারল না। ম্যাচ হেরে কনমেবল টেবলের পাঁচ নম্বরে নামল আর্জেন্তিনা। পরিস্থিতি যা তাতে বিশ্বকাপে সরাসরি পৌঁছতে হলে বাকি চার ম্যাচই জিততে হবে আর্জেন্তিনাকে।
হারের কারণ হিসেবে ফিফাকে দায়ী করলেন আর্জেন্তাইন কোচ এডগার্ডো বাউজা। বাউজা বলছেন, ‘‘অদ্ভুত সময়ে মেসিকে সাসপেন্ড করা হল। আমাদের আবেদন করারও কোনও সময় দেওয়া হয়নি।’’ ফিফাকে কটাক্ষ করে মেসির ক্লাব বার্সেলোনাও সরকারি বিবৃতিতে পোস্ট করে,‘‘মেসিকে চার ম্যাচ সাসপেন্ড করা ঠিক হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy