ফাইল চিত্র।
বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল ইংল্যান্ডের সব ফুটবল সংস্থা। ৩০ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল তিনটে থেকে ৩ মে সকাল ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত সকলকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ), প্রিমিয়ার লিগ, ইংলিশ ফুটবল লিগ, মেয়েদের সুপার লিগ ও চ্যাম্পিয়নশিপ একসঙ্গে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে অভিনব এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। ৩০ এপ্রিল বিকেল তিনটি থেকে ৩ মে সকাল ১১.৫৯ মিনিট পর্যন্ত টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম-সহ সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ রাখা হবে। সম্প্রতি থিয়েরি অঁরি-ও বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদে সোশ্যাল মিডিয়া বয়কট করেন। ফরাসি কিংবদন্তির পথই এ বার অনুসরণ করল ইংল্যান্ড।
বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অবশ্য দীর্ঘ দিন ধরেই শামিল ফুটবলমহল। ম্যাচ শুরুর আগে মাঠে হাঁটু মুড়ে বসে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফুটবলার, রেফারি থেকে অন্যান্যরা। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ফিফাও এই ব্যাপারে ‘জ়িরো টলারেন্স’ অর্থাৎ, ন্যূনতম প্রশ্রয় না দেওয়ার নীতি কঠোর ভাবে মেনে চলছে। তা সত্ত্বেও বর্ণবিদ্বেষ বন্ধ হয়নি। সপ্তাহখানেক আগে স্পেনের লা লিগায় কাদিসের বিরুদ্ধে ম্যাচে বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন ভ্যালেন্সিয়ার মুখতার দিয়াখাবি। প্রতিবাদে তাঁর সঙ্গে সতীর্থরাও মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ২৪ মিনিট বন্ধ থাকার পরে ম্যাচ ফের শুরু হলেও আর খেলেননি মুখতার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে হারের পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিভারপুলের মহম্মদ সালাহ, সাদিয়ো মানে-রা বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন। যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই বন্ধ হয়নি বর্ণ নিয়ে এই বিদ্বেষ। এ বার তাই সোশ্যাল মিডিয়া বয়কটের সিদ্ধান্ত।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রিচার্ড মাস্টার্স তাঁর বিবৃতিতে বলেছেন, “কোনও প্রকার বর্ণবিদ্বেষী আচরণ মেনে নেওয়া হবে না। খেলোয়াড়েরা যে ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায়বর্ণবিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন, তা চলতে দেওয়া যায় না।”ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিভাগের প্রধান এডলিন জন বলেছেন,“ইংল্যান্ডের ফুটবল ও সমাজের সঙ্গে যুক্ত অনেক মানুষ নিয়মিতভাবে বৈষম্যমূলক আচরণের শিকার হচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যারা এই ঘৃণ্য কাজ করছে,তাদের কোনও শাস্তি হচ্ছে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।”তিনি যোগ করেছেন, “এই পরিস্থিতির পরিবর্তন চাই আমরা। তাই আমাদের প্রতিবাদ বন্ধ হবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy