ছবি রয়টার্স
ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং বা জাক কালিস। তা তিনি যেই হন, এঁরা ব্যাট করতে নামলেই উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে তিনি চাইতেন, যেন তাঁরা দ্রুত আউট হয়ে যান। ব্যতিক্রম শুধু সচিন তেন্ডুলকর। এতটাই ভাল লাগত সচিনকে ব্যাট করতে দেখাটা যে তিনি উইকেটকিপিং করতে করতে চাইতেন সচিন যেন আউট না হন। ফাঁস করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রশিদ লতিফ।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে অতীতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের স্মৃতি নিয়ে রশিদ বলেছেন, ‘‘তেন্ডুলকরের ব্যবহার একেবারে আলাদা রকম ছিল। যদি আমি উইকেটের পিছন থেকে কিছু বলতামও, ও পাল্টা কোনও জবাব দিত না। শুধু হাসত। যখন আমি কিপিং করতাম, আমার মন কখনওই চাইত না সচিন আউট হয়ে যাক। তবে লারা, পন্টিং, কালিস ব্যাট করলে তার উল্টোটা চাইতাম।’’ রশিদ আরও বলেন, ‘‘সচিনকে কখনও কোনও বিতর্কে জড়াতে দেখিনি। তা সে টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারেই হোক বা তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তাই রেকর্ড বই থেকে শুরু করে কারও সেরা একাদশে— সচিনের নাম সব সময়ই থাকে।’’
সচিনের দীর্ঘ ক্রিকেটজীবনেরও প্রশংসা করেন রশিদ। বলেছেন, ‘‘২০০ টেস্ট খেলা খুব কঠিন একটা কাজ। তা ছাড়া সচিন ৪০০ ওয়ান ডে-তেও খেলেছে। অতীতে অনেক ক্রিকেটারই এসেছে। কিন্তু সচিন অন্য রকম।’’ প্রসঙ্গত বিশ্ব ক্রিকেটের মাস্টার ব্লাস্টার সচিন এক মাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ টেস্টে খেলেছেন। একই সঙ্গে তিনি ওয়ান ডে এবং টেস্টেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। পাশাপাশি টেস্ট ও ওয়ান ডে মিলিয়ে সচিন এক মাত্র ক্রিকেটার যাঁর ১০০টি সেঞ্চুরি রয়েছে। ৫১টি টেস্টে এবং ওয়ান ডে-তে ৪৯টি।
আরও পড়ুন: শক্তিমান মাহি: গ্রেগের প্রশংসা, ভাজ্জির দুসরা
সচিন তেন্ডুলকরের বেশির ভাগ রেকর্ড কি ভাঙতে পারবেন বিরাট কোহালি? কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আক্রম এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না। তিনি একটি বিষয়ে নিশ্চিত যে, কোহালি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন। ভারতীয় অধিনায়কের রান করার গতিতে মুগ্ধ আক্রম।
বুধবার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আক্রম বলেন, “আমার যা মনে হয়, সেটাই স্পষ্ট করে বলতে পছন্দ করি। সচিনের সঙ্গে কোহালির তুলনা কখনওই আমি করব না। তবে হ্যাঁ, এখনও অনেক পথ যাওয়া বাকি বিরাটের।” যোগ করেন, “যদি প্রশ্ন করা হয়, বিরাট কি সচিনের বেশ কিছু রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে? আমি কিন্তু এ বিষয়ে নিশ্চিত নই। সচিনের রেকর্ডের সংখ্যা প্রচুর। তা ভাঙতে এখনও অনেক সময় লাগবে। তবে বিরাট দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।”
বর্তমান ক্রিকেটবিশ্বে বিরাট যে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তা অস্বীকার করছেন না আক্রম। বলছিলেন, “বর্তমানে বিরাট নিঃসন্দেহে সেরা। বিরাট ও সচিন দুই প্রজন্মের ক্রিকেটার। ওদের মধ্যে তুলনা চলে না।” সচিনের সঙ্গে বহু ম্যাচের অভিজ্ঞতা থেকে আক্রম জানেন, ব্যাটিংয়ের ভঙ্গি আগ্রাসী হলেও, শান্ত ব্যক্তিত্বের মানুষ ছিলেন সচিন। কিন্তু বিরাট বরাবরই আগ্রাসী। আক্রমের কথায়, “বিরাট বরাবরই ইতিবাচক ও আগ্রাসী। ব্যাটিংয়ের সময় তো বটেই। মানুষ হিসেবেও একই রকম। সচিন কিন্তু শান্ত। ওর মস্তিষ্কে কী চলছে তা বোলার হিসেবে বুঝতে হত। একেবারেই অন্য চরিত্রের ক্রিকেটার।” আক্রম আরও বলেন, “জানতাম সচিনকে স্লেজ করলে আরও সতর্ক হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy