লড়াকু: ১১২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস জাডেজার। এএফপি
দু’বছর আগে টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। কিন্তু বৃহস্পতিবার অ্যান্টিগায় সেঞ্চুরির কাছে এসেও ফিরে গেলেন ভারতীয় টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক। যদিও তাঁর ৮১ রানের ইনিংস দলকে অনেকটা স্থায়িত্ব দিয়ে গেল।
বৃহস্পতিবার ম্যাচের আগে বৃষ্টি হওয়ায় উইকেট কিছুটা স্যাঁতসেঁতে হয়ে গিয়েছিল। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক জেসন হোল্ডার টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই মায়াঙ্ক আগরওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহালিকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতীয় শিবিরে উদ্বেগ তৈরি করেন কেমার রোচ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েল। ২৫ রানে তিন উইকেট পড়ার পরে ক্রিজে আসেন রাহানে।
বিপক্ষ পেস বিভাগের বাউন্সার বৃষ্টি সামলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন কে এল রাহুল ও রাহানে জুটি। ৪৪ রানে রাহুল ফিরে যাওয়ার পরে রাহানেকেই দায়িত্ব নিতে দলকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের আতঙ্ক থেকে মুক্ত করার। তরুণ ব্যাটসম্যান হনুমা বিহারীকে সঙ্গে নিয়ে ৮২ রানের জুটি গড়েন রাহানে।
২০৩-৬ স্কোরে প্রথম দিন শেষ করার পরে যথারীতি সাংবাদিক বৈঠকে রাহানেকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‘দু’বছর হয়ে গিয়েছে, আপনার সেঞ্চুরি নেই। এই ম্যাচে সেই সুযোগ কি নষ্ট করলেন?’’ রাহানের উত্তর, ‘‘এই প্রশ্নের জন্য আমি তৈরিই ছিলাম। ক্রিজে যতক্ষণ থাকি, ততক্ষণ নিজের মাইলফলক নিয়ে ভাবি না। দলের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাট করি। মনে রাখবেন, আমি স্বার্থপর নই। যে পরিস্থিতিতে আমি ব্যাট করতে নেমেছি, সেখানে ৮১ রান করাই সেঞ্চুরির সমান।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘দলের জন্য আদৌ কিছু করতে পারছি কি না সেটাই আসল। এই মনোভাব নিয়ে ব্যাট করলে সেঞ্চুরি এমনিতেই আসবে।’’
বিশ্বকাপ চলাকালীন তিনি সময় নষ্ট করেননি। ইংল্যান্ডে কাউন্টি খেলেছে হ্যাম্পশায়ারের হয়ে। রাহানে জানিয়েছেন, কাউন্টিতে কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করে নিজেকে অনেকটা তৈরি করেছেন। ‘‘বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার পরেই ঠিক করি, কাউন্টি খেলব। ইংল্যান্ডের পরিবেশে ডিউকস বলের বিরুদ্ধে খেললে টেকনিকে উন্নতি হয়। শরীরের বাইরের বল তাড়া করার মতো খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করেছি।’’
ভারতীয় শিবিরে যে হৃদকম্পন ধরিয়েছেন, সেই কেমার রোচ যদিও মনে করেন, অ্যান্টিগার পিচ চরিত্রের বিপরীত আচরণ করেনি। বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদেরই কৃতিত্ব দিচ্ছেন এই উইকেটে দুরন্ত বল করার জন্য। রোচ বলেছেন, ‘‘অ্যান্টিগার পিচে শুরুর দিকে কিছুটা সাহায্য পাওয়া যায়। তার সদ্ব্যবহার করতে পেরে ভাল লাগছে। কিন্তু অন্যান্য বারের চেয়ে পিচে আর্দ্রতার পরিমাণ কম। তবুও আমাদের বোলাররা অসাধারণ বোলিং করে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ তৈরি করেছে।’’
এ দিকে, শুক্রবার ভারতীয় দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৯৭ রানে। সকলের নজর ছিল ঋষভ পন্থের দিকে। কিন্তু তিনি প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারেননি। ২৪ রানে ফেরেন কেমার রোচের বলে। তবে ছন্দে ছিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। ১১২ বলে ৫৮ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ছয়টি বাউন্ডারি এবং একটি ছয়। ইশান্ত শর্মা ৬২ বলে ১৯ রান করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy