দুই অধিনায়কের মেজাজ দু’রকমের। প্রথম জন অজিঙ্ক রাহানে। যিনি বোলারেরা ভুল করলেও বকাঝকা না করে শান্ত মাথায় বোলারের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। ভুল যাতে ফের না হয়, তা শোধরাতে সাহায্য করেন।
আর দ্বিতীয় জন বিরাট কোহালি। যিনি কখনও কখনও বোলারেরা ভুল করলে রেগে যান বলে মনে হয়। কিন্তু আসলে সে রকম নয়। ক্রিকেটের প্রতি বিরাটের আবেগ, উৎসাহকেই অনেকে রাগ বলে ভুল করেন।
বর্তমান ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট এবং তাঁর সহকারী রাহানে সম্পর্কে আর অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে এমন ব্যাখ্যাই করলেন ভারতীয় দলের বোলিং কোচ বি অরুণ। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া থেকে টেস্ট সিরিজ ২-১ জিতে ফিরেছে ভারত। যে সিরিজে বিরাট কোহালি প্রথম টেস্টের পরে পিতৃত্বের ছুটি নিয়ে দেশে ফেরার পরে বাকি তিন টেস্টে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেন রাহানে।
অরুণের কথায়, ‘‘অজিঙ্ক একদম ঠান্ডা মাথার ক্রিকেটার। তবে বাইরে থেকে ওকে শীতল মস্তিষ্কের মনে হলেও, ভিতরে ভিতরে কিন্তু ও ইস্পাতকঠিন স্নায়ুর অধিকারী।’’ যোগ করেছেন, ‘‘ক্রিকেটারদের পাশেই সব সময়ে এই ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক নিয়ে থাকে রাহানে। যদি কোনও বোলার খেলার সময়ে ভুলও করে, তা হলেও তাঁর মনে অধিনায়ককে নিয়ে ভয় থাকে না। সে জানে, দলনেতা ওর পাশেই রয়েছে ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য।’’
উল্লেখ্য, এ বারের অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথম টেস্টে হার ও তার দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল। তার পরেই বিরাট দেশে ফেরেন। রাহানে বাকি তিন ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে দু’টি ম্যাচ জেতান ভারতকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাহানের এই শীতল মস্তিষ্ক নিয়ে দলচালনা, সিরিজ জিততে সাহায্য করেছে ভারতকে।
বিরাটের নেতৃত্ব সম্পর্কে ভারতীয় বোলিং কোচের বিশ্লেষণ, ‘‘বিরাট জেতার জন্য আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে থাকে। দলের কোনও বোলার দু’টো খারাপ বল করলেই মনে হয় যেন বিরাট রেগে গিয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়। খেলার মধ্যে বিরাট প্রবল ভাবে মগ্ন থাকে বলেই এটা হয়।’’
৫৮ বছর বয়সি ভারতের এই বোলিং কোচ জানিয়েছেন, ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষ ব্যাটসম্যানেরা চার-ছক্কা মারছে, এটা দেখতে পছন্দ করেন না কোচ রবি শাস্ত্রীও। তাঁর এই মনোভাব কাজে লাগিয়েই অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যানেদের অফসাইডে বেশি রান করা বন্ধ করে দিয়েছিল ভারতীয় বোলারেরা।
অরুণ বলেছেন, ‘‘ড্রেসিংরুম থেকেই ম্যাচে নজর রাখে রবি। কিন্তু আমাদের বোলারদের চার-ছক্কা মারছে বিপক্ষের কেউ, সেটা ও দেখতে পছন্দ করে না। বোলারেরা রান দিচ্ছে, এই ব্যাপারটাই শাস্ত্রীর পছন্দসই নয়।’’ যোগ করেন, ‘‘ও চায়, আমাদের বোলারেরা বল হাতে উইকেট নেবে। আর বিপক্ষ যখন বল করবে তখন আমরা রান বাড়িয়ে যাব। কেউ দু’টো চার-ছক্কা মারলেই চিৎকার শুরু করে দেবে। যা আমার দিকেও ছুটে আসবে।’’
অরুণের কাছে প্রশ্ন গিয়েছে মহম্মদ সিরাজ সম্পর্কেও। অস্ট্রেলিয়া সফরে সব চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন হায়দরাবাদের এই পেসার। তাঁকে বিশেষ প্রতিভা উল্লেখ করে অরুণ বলেন, ‘‘সাফল্য পাওয়ার জন্য সিরাজের রাগ ও খিদে দু’টোই রয়েছে। আইপিএলে আরসিবি দলে ওকে নেট বোলার হিসেবে দেখেছি। নেটে আগ্রাসন ও গতি মিশিয়ে আগুন ঝরাত বল হাতে। আগ্রাসন কাজে লাগিয়েই ধাপে ধাপে ভারতীয় দলের দরজা খুলে ফেলেছে ও। সিরাজের বড় শক্তি আত্মবিশ্বাস আর ও নিজে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy