আবিষ্কার: অভিষেক ও নর্টনের সঙ্গে সানি (মাঝে)।
অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপের জন্য আরও এক এনআরআই-এর খোঁজ পেয়েছে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। সানি ধালিওয়াল নামের সেই কিশোরের উচ্চতা প্রায় সাড়ে ছয় ফিট। কানাডা নিবাসী সানি খেলেন গোলকিপার হিসেবে।
তাকে প্রাথমিক ভাবে দেখার পর বেশ পছন্দই হয়েছে কোচ লুইস নর্টন দে মাতোস এবং ফেডারেশনের প্রতিভা স্কাউটিংয়ের প্রধান অভিষেক যাদবের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে তাঁরা আবেদন করেছেন যাতে সানির পাসপোর্ট এবং ভিসা দ্রুত করে দেওয়া যায়। এই মুহূর্তে ভারতের অনূর্ধ্ব সতেরো দল রয়েছে ইতালিতে। সেখানে লাজিও কাপে তারা খেলবে।
আমেরিকা এবং স্পেনেও যাবে ভারতের অনূর্ধ্ব সতেরো দল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে ফেডারেশন বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছে যে, সানির কাগজপত্র যেন আমেরিকা সফরের আগে অন্তত হয়ে যায়। তা হলে অন্তত দু’টো টুর্নামেন্টে খেলিয়ে নেওয়া যাবে। অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপের জন্য এনআরআই খেলোয়াড়দের নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে ফেডারেশন। তার জন্য সাইয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে তারা। সেই ওয়েবসাইটে বিদেশ থেকে কেউ ভিডিও আপলোড করে খেলার আবেদন জানাতে পারে।
এই ব্যবস্থা দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার অভিষেক। এ ভাবেই অনূর্ধ্ব সতেরো দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আমেরিকায় বসবাসকারী সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার নমিত দেশপাণ্ডে। আসন্ন যুব বিশ্বকাপে ভারতের অন্যতম প্রধান ভরসা হতে যাচ্ছে নিউ জার্সির ছেলে। এ বার সানিও ঢুকে পড়ছে সেই তালিকায়।
ভারতীয় দলের সঙ্গে ইতালিতে থাকা ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত ফোনে বললেন, ‘‘আগের থেকে অনেক বেশি তীব্রতা দেখতে পাচ্ছি কোচ নর্টনের প্র্যাকটিস ভঙ্গিতে। ছোটখাটো সব দিকেই উনি নজর দিচ্ছেন। ভুলের পরিমাণ অনেক কমিয়ে আনতে পারছেন। ভাল কিছু তাই আশা করাই যায়।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘ইউরোপ, আমেরিকায় ঘুরে প্রস্তুতি সারছে ভারতীয় দল। কখনও যা শোনা যায়নি। নিজেদের দেশে বিশ্বকাপে ভাল ফল করার তাগিদ সকলের মধ্যে এসে গিয়েছে।’’
ইতালিতে লাজিও কাপে আজ, মঙ্গলবারই প্রথম ম্যাচ ভারতীয় দলের। খেলা হবে ফিউজিতে। রোম থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেকের দূরত্ব। সেখানকার মনোরম পরিবেশ দেখে আরওই উৎসাহিত হয়ে গিয়েছে যুব দল। ইতালির জাতীয় দলকে হারিয়েছে কি হারায়নি, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ফেডারেশন কর্তাদের দাবি, তাঁদের কাছে যে সূচি পাঠানো হয়েছিল তাতে কিন্তু ইতালির জাতীয় অনূর্ধ্ব সতেরো দলই খেলবে বলে জানানো হয়েছিল।
এখন জানা গিয়েছে, আসলে ইতালি নামিয়েছিল তাদের ‘সি’ দল। লাজিও কাপে ইতালি নামাবে তাদের ‘বি’ দল। এখানে জিততে পারলে বিশ্বকাপের জন্য মনোবল বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, বিশ্বকাপের পর এই তরুণ ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে? তার পর তো আর কোনও টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ নেই।
এই প্রশ্নেরও সমাধান করার চেষ্টা হচ্ছে। সাই চারটি ফুটবল অ্যাকাডেমি করছে। সেগুলি জুনের ১ তারিখ শুরু হওয়ার কথা। তার মধ্যে একটি অ্যাকাডেমি হবে কলকাতাতেও। অনূর্ধ্ব সতেরো বিশ্বকাপের জন্য যে ছেলেদের তৈরি করা হয়েছে, তাদের এই অ্যাকাডেমিতে পরিচর্যা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওদিকে, কোচ নর্টন দে মাতোস এখন জোর দিচ্ছেন ‘ফিনিশিং’-এর উপর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy