বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছেন স্টিভ স্মিথ। ছবি: রয়টার্স।
অস্ট্রেলিয়া ২৯৯/৪
এক অধিনায়কের চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ার দিনে সেঞ্চুরি হাঁকালেন আর এক অধিনায়ক। সঙ্গে রেকর্ডও। ধোনির শহরে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে কাঁধে চোট পেলেন স্বয়ং ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি। ব্যাথায় মাঠ ছাড়তে হল। আর তার পরটা লেখা হল অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের ব্যাটে। সেঞ্চুরি তো করলেনই সঙ্গে দ্রুততম ৫০০০ হাজার টেস্ট রানের তালিকায় উঠে এলেন তিন নম্বরে। তার সঙ্গে থাকল স্মিথ-ম্যাক্সওয়েলের ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ।
আরও খবর: দ্রুততম ৫০০০! ব্র্যাডম্যান, গাওস্করের পরই তিনে এলেন স্মিথ
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন ম্যাট রেনশ ও ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু বেশিক্ষণ ভরসা দিতে পারেননি দুই ওপেনার। ১৯ রানে ব্যাট করা ডেভিড ওয়ার্নার জাডেজার বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন প্যাভেলিয়নে। আর তখনই দলের হাল ধরতে নেমে পড়েন স্বয়ং অধিনায়ক। স্টিভকে ব্যাট হাতে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছিলেন ওয়েনার রেনশ। কিন্তু ৪৪ রান করা রেনশকে ফেরান উমেশ যাদব। তাঁর বলে বিরাট কোহালিকে ক্যাচ তুলে দেন এই ওপেনার। এর পর নেমে শ্যন মার্শ মাত্র দু’রান করেই অশ্বিনের বলে পূজারাকে ক্যাচ দিয়ে চাপে ফেলে দেন অস্ট্রেলিয়াকে। ১৯ রানে উমেশ যাদবের বলে এলবিডব্লু হন হ্যান্ডসকম্ব। উল্টোদিকে তখন একাই অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের যাবতীয় দায়িত্ব কাঁধে লড়ে চলেছেন স্বয়ং অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত যোগ্য সঙ্গত গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের।
হ্যান্ডসকম্বকে আউট করে উমেশ যাদবের উচ্ছ্বাস।
লাঞ্চের আগেই তিন উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। লা়ঞ্চের পর এক। তার পরই বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে কাঁধে চোট পান ভারত অধিনায়ক। খেলার চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু ব্যথা অনুভব করায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। আর ফেরেননি। অধিনায়ক বেরিয়ে যেতে দলের আত্মবিশ্বাসেও ধাক্কা লাগে। বল হাতে আর লড়াই দিতে পারেননি অশ্বিনরা। দিনের শেষ উমেশের দু’উইকেট, অশ্বিন ও জাডেজার একটি করে উইকেটের সৌজন্য অস্ট্রেলিয়া ২৯৯/৪। ক্রিজে ১১৭ রান করে ক্রিজে রয়েছেন স্টিভ স্মিথ ও ৮২ রান করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে ধাক্কা দিতে না পারলে বড় লক্ষ্যের সামনে পড়তে হবে ভারতকে। পুরো দায়িত্বটাই এখন বোলারদের হাতে। কম রানে প্রতিপক্ষকে আটকাতে পারলে হালকা মনে ব্যাট করতে পারবেন লোকেশ, বিজয়রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy