n আশাবাদী: পেসারদের মধ্যেও উজ্জ্বল লেগস্পিনার আদিল। ফাইল চিত্র
এক জন আইপিএলে দুরন্ত খেলে জাতীয় দলে চলে এসেছেন। কিন্তু প্রথম একাদশে এখনও সুযোগ করে নিতে পারেননি। তিনি ভারতের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঈশান কিশান। অন্য জন আইপিএলে ব্রাত্য, কিন্তু জাতীয় দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র। তিনি ইংল্যান্ডের লেগস্পিনার আদিল রশিদ।
ভারতের বিরুদ্ধে শুক্রবার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ওভার করে চমকে দিয়েছিলেন রশিদ। অনেক বছর হয়ে গিয়েছে, তিনি নতুন বলে বল করেননি। ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগের দিন আমদাবাদ থেকে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে রশিদ বলেন, ‘‘নতুন বলে বল করাটা এখন আমার কাছে নতুন ব্যাপার। গত দু’দিন হল নেটে নতুন বলে বল করছি।’’ লেগস্পিনার রশিদ পরিষ্কার বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমাকে যখনই বল করতে ডাকা হোক না কেন, লক্ষ্য থাকে সেরাটা দেওয়ার। এমন কিছু করা, যেটা দলের কাজে আসবে।’’ প্রথম ম্যাচে বিরাট কোহালির উইকেট তুলে নিয়ে অধিনায়ক অইন মর্গ্যানের আস্থার মর্যাদা দেন রশিদ।
অনেকে মনে করেন, এই মুহূর্তে সাদা বলের ক্রিকেটে সেরা স্পিনার হলেন রশিদ। কিন্তু তিনি আইপিএলে বরাবরই ব্রাত্য। এ বারও নিলামে নাম দিয়েছিলেন। কিন্তু দল পাননি। যা নিয়ে এই লেগস্পিনার বলেছেন, ‘‘আইপিএলে দল না পেয়ে আমি হতাশ নই। এমনিতেই অনেক স্পিনার খেলে আইপিএলে। তার উপরে ভারতীয় স্পিনাররাও আছে। যে কারণে আইপিএলে কোনও দল আমাকে নেবে, এমনটা ভাবিনি।’’ ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা অ্যাশলে জাইলস এবং অধিনায়ক মর্গ্যান বার বার বলে এসেছেন, আইপিএলের কারণে অনেক উপকৃত হয়েছে তাঁদের দেশের ক্রিকেট। ৩৩ বছর বয়সি রশিদ বলেছেন, ‘‘আইপিএলে দল পেলে অবশ্যই ভাল হত। এই সব প্রতিযোগিতায় নিলামে নাম দেওয়ার পরে আশায় থাকতে হয়, কোনও দল যদি নেয়।’’
গত আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে চমকপ্রদ ব্যাটিং করেছিলেন ঈশান। ৫১৬ রান করে হয়েছিলেন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। তিনি খেলেছিলেন মিডল অর্ডারে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে এই তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান বলছেন, তিনি যে কোনও জায়গায় ব্যাট করতে তৈরি। একটি সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি জানি, এই ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া কতটা কঠিন। তবে আমি যে কোনও জায়গায় ব্যাট করার জন্য প্রস্তুত। আমার ক্রিকেট জীবনে আমি মিডল অর্ডার থেকে ওপেন— সব জায়গায় খেলেছি।’’
ঈশান এও জানিয়েছেন, চাপের মুখে ব্যাট করাটা তিনি উপভোগ করেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি চাপের মুখে ব্যাট করার সময় বেশি আত্মবিশ্বাসী বোধ করি। বিভিন্ন ঘরোয়া প্রতিযোগিতা, ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে ম্যাচ আপনাকে এর জন্য তৈরি করে দেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy