মহম্মদ শামির প্রত্যাবর্তন খারাপ হল না। কিন্তু ফের হেরে বিজয় হাজারে ট্রফির লড়াইয়ে বেশ পিছিয়ে পড়ল বাংলা। রবিবার সুরেশ রায়নার উত্তরপ্রদেশের কাছে চার উইকেটে হারল বাংলা। শামির জোড়া উইকেট ও সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ৯৭ রান দলকে জেতাতে পারল না। যা অবস্থা, তাতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে গেলে মনোজ তিওয়ারিদের শেষ দু’টি ম্যাচে জিততেই হবে। দু’টি করে ম্যাচের দু’টিতেই জিতে গ্রুপের সেরা দুই সৌরাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশ।
এ দিন ছিল ভুবনেশ্বর কুমার ও মহম্মদ শামির যুদ্ধও। দু’জনেই দু’টি করে উইকেট নেন। তবে ভুবি যেখানে ২২ রান দেন, সেখানে শামি দেন ৫২। তবে সাড়ে আট মাস পরে ম্যাচ খেলতে নামার দিক থেকে দেখতে গেলে শামিকে নাকি বেশ উজ্জ্বল লেগেছে। সতীর্থদের বক্তব্য, বেশ ভাল বল করেছেন শামি। লাইন ও লেংথ যথেষ্ট ভাল ছিল। সুইংও করাচ্ছিলেন। বিপক্ষের ভাল রান পাওয়া দুই ব্যাটসম্যান উমঙ্গ শর্মা (৭৩) ও একলব্য দ্বিবেদীকে (৪৫) বোল্ড করে দেন নিখুঁত ইয়র্কারে।
এ দিন বাংলার বিরুদ্ধে পুরো দল নিয়েই নেমেছিল উত্তরপ্রদেশ। আগের রাতে মুম্বইয়ে রোহিত শর্মার বিয়ের পার্টি সেরে এ দিন সকালে রাজকোটে এসে মাঠে নেমেও পড়েন রায়না। তিনি অবশ্য সাতের বেশি করতে পারেননি। অশোক দিন্দার বলে লক্ষ্মীরতন শুক্লর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তবে তাঁর দলের ব্যাটসম্যানদের কাজ সহজ করে দেয় বাংলাই। ২২১ রানে অল আউট হয়ে। যে রানটা রায়নারা তুলে নেন কুড়ি বল বাকি থাকতে।
মাত্র ২৩-এর মধ্যে ওপেনারদের হারানোর পর সুদীপ লম্বা ইনিংস খেললেও তাঁর সঙ্গে বড় পার্টনারশিপ গড়ার মতো কাউকে পাননি তিনি। সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে ফোনে সুদীপ বললেন, ‘‘একটা বড় পার্টনারশিপ হয়ে গেলে আমাদের রানটা আরও বাড়ত। মাত্র তিন রানের জন্য সেঞ্চুরিটাও পেলাম না। তবে হারার জন্য আফসোসই বেশি।’’
সুদীপ ছাড়া বাংলার অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লক্ষ্মীর ৩২ ও পঙ্কজ সাউয়ের ২৬ ছাড়া তেমন কোনও স্কোর নেই। মনোজ তিওয়ারির ১৪ বল খেলে মাত্র এক রান করে মহম্মদ জাভেদের বলে বোল্ড হয়ে যান। ঋদ্ধিমান সাহাও এ দিন ১৬-র বেশি করতে পারেননি। যদিও তাঁর আউটটা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে বাংলা শিবিরের কারও কারও মধ্যে। কেউ কেউ বলছেন পীযূষ চাওলা ক্যাচটা বাউন্ডারি লাইনে যখন ধরেছিলেন, পা নাকি লাইনের বাইরে চলে গিয়েছিল। সুদীপ অবশ্য বললেন, ‘‘উইকেট যে ব্যাট করার পক্ষে খুব কঠিন ছিল, তা নয়। ঠিকই ছিল। ওরা ভাল বল করেছে।’’
জাভেদ চারটি ও পীযূষ চাওলা তিন উইকেট নেন। গত ম্যাচেও ব্যাটিং সহায়ক উইকেট পেয়ে ব্যাটসম্যানরা ভাল রান পাননি। বাংলা শিবিরে কারও কারও ধারণা, ওয়ান ডে-র টেম্পারামেন্টের হয়তো অভাব। তাই চাপের মুখে ভেঙে পড়ছে। সত্যিই সেটা হলে শেষ দুই ম্যাচ (মধ্যপ্রদেশ ও সৌরাষ্ট্র) জেতা আরও কঠিন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy