Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বকাপে ফিনিশারের জায়গাটাই আমার লক্ষ্য, বলছেন কেদার

বাংলাদেশ সফরে তিনি যে আছেন সেটা যখন জানাজানি হয়, তখন টিভিতে সিনেমা দেখছিলেন কেদার যাদব। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা থেকে ফোনটা ওই সময়ই পান। এবং ফোনটা আসার সঙ্গে সঙ্গে বুঝে গিয়েছিলেন, কেন ফোনটা বাজছে।

চেতন নারুলা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৪ ০৩:১৮
Share: Save:

বাংলাদেশ সফরে তিনি যে আছেন সেটা যখন জানাজানি হয়, তখন টিভিতে সিনেমা দেখছিলেন কেদার যাদব। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা থেকে ফোনটা ওই সময়ই পান। এবং ফোনটা আসার সঙ্গে সঙ্গে বুঝে গিয়েছিলেন, কেন ফোনটা বাজছে।

“তখন তো জানতাম ভারতের দল নির্বাচন হবে। আমার কাছে ব্যাপারটা অত্যন্ত গর্বের। ভারতীয় টিমের অংশীদার হতে পারছি, এর চেয়ে বড় আর কী হতে পারে? ছোটবেলায় যখন ক্রিকেট শুরু করেছিলাম, তখন এই স্বপ্নই দেখতাম যে একদিন ভারতের হয়ে খেলব,” বলছিলেন আসন্ন বাংলাদেশ সফরে সুযোগ পাওয়া দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের কেদার। আইপিএল সেভেনে দিল্লি অসম্মানজনক ফল করলে কী হবে, তাঁর প্রতিভা নজর কেড়েছে। বিশেষ করে যে ভাবে লোয়ার অর্ডারে নেমে বারবার তিনি ঝোড়ো ইনিংস খেলতেন। “মহারাষ্ট্রতে আমি চার নম্বরে ব্যাট করে থাকি। কিন্তু ভারতীয় টিমে সুযোগ পেয়েই আমি নিজের পছন্দমতো জায়গা বেছে নিতে পারি না। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যেখানে নামাবে, আমি সেখানেই নামব। বাংলাদেশে মাত্র তিনটে ওয়ান ডে ম্যাচ আছে। যা করার ওতেই করতে হবে,” বলছেন কেদার। সঙ্গে যোগ করছেন, “২০১৫ বিশ্বকাপ খুব কাছে চলে এসেছে। এখনও টিমে কয়েকটা স্লট আছে যেখানে বিভিন্ন জনকে দেখে নেওয়া যেতে পারে। আমার মনে হয়, ভারতীয় টিমে ফিনিশারের স্লটে আমি ভালই করতে পারব।”

ঘরোয়া ক্রিকেটে গত মরসুম অসাধারণ গিয়েছে কেদারের। রঞ্জি ট্রফিতে ১১ ম্যাচ খেলে ১২২৩ রান করেছেন। “রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি আর ফাইনালে কর্নাটকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরিই মনে হয় আমাকে নিয়ে নির্বাচকদের আগ্রহী করে তুলেছিল। আমি এই ডাকটার জন্য বহু দিন অপেক্ষা করে ছিলাম। জানতাম যে, যদি মনটাকে পরিষ্কার রেখে ভাল ক্রিকেট খেলতে পারি, শুধু রান করার ব্যাপারে মনযোগ দিতে পারি, সুযোগ পাওয়াটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা হবে। আর সেই ব্যাপারে মহারাষ্ট্র কোচ সুরেন্দ্র ভাবেও আমাকে প্রচণ্ড সাহায্য করেছেন,” বলছেন কেদার। যিনি মনে করেন, ভারতীয় দলে ডাকটা একদম ঠিকঠাক সময়ে এসেছে। বলছেন, “সময়ের আগে সুযোগ চলে এলে অনেক তরুণ ব্যাটসম্যানই সেই সুযোগকে নষ্ট করে ফেলে। সুযোগটা নেওয়ার জন্য তৈরি থাকে না। আজ আমি ফর্মের শিখরে আছি। আমি আনন্দের সঙ্গে তৈরি সুযোগকে কাজে লাগাতে। বহু দিন অপেক্ষার পর সুযোগটা পেয়েছি যখন আমি এর মর্যাদা দেব। কারণ আমার জীবনের লক্ষ্যই হল ভারতের হয়ে খেলা আর ম্যাচ জেতা।”

অন্য বিষয়গুলি:

chetan narula kedar yadav
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE